প্রচারনায় বাধা, হামলা, হুমকি, অস্ত্র প্রদর্শন ও অনিয়মের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে জামালপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত মেয়র প্রার্থী এড: শাহ মো: ওয়ারেছ আলী মামুন। সোমবার বেলা ১২ টায় শহরের সরদারপাড়াস্থ তার নির্বাচনী কার্যালয়ে ওয়ারেছ আলী মামুন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী এবং বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মনোনিত ধানের শীষ প্রতিকের মেয়র প্রার্থী মামুন অভিযোগ করে বলেন-“আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ছানু পৌর এলাকার বিভিন্ন সরকারি জায়গা ও চলাচলের রাস্তার উপর প্রচার ক্যাম্প এবং মাত্রাতিরিক্ত ক্যাম্প স্থাপন করলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না জেলা নির্বাচন কমিশন।” তিনি আরো বলেন- “ছানোয়র হোসেন ছানু নির্বাচনী আচরন বিধি লঙ্ঘন করে নির্ধারিত সময়ের আগেই গনসংযোগ ও মিছিল করেছে। এছাড়া ছানুর কর্মী সমর্থকরা প্রতিনিয়ত তার প্রচারনায় বাধা প্রদান করছে, বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা, হুমকি, বাড়ি ঘর ও মটরসাইকেল ভাংচুর করলেও নিশ্চুপ রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। মামুন বলেন-“১০ ফেব্রুয়ারি পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডে উঠান বৈঠকের প্রস্তুতিকালে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: সুরুজ্জামান আমাদের বাধা ও হুমকি দেয় এবং নির্বাচন থেকে সরে দাড়াতে বলেন। পরের দিন শহরের পাথালিয়া দিয়ে যাওয়ার সময় ছানুর কর্মী হান্নান আমাদের গাড়ির গতিরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং পিস্তল প্রদর্শন করেন।” ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন এসব বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে বার বার অভিযোগ করলেও ব্যবস্থা গ্রহন করেননি তিনি। তিনি প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন-“ বাংলাদেশে নির্বাচনের নামে কি হচ্ছে? নির্বাচনের নামে একটি পেশী শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রহসনের নির্বাচন সৃষ্টি করার তৎপরতা চলছে। সরকার ১২ বছর যাবত এই কাজ করে আসছে। তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে জামালপুর পৌরসভা নির্বাচন। ” সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।