মাধবদী পৌর নির্বাচনে ১১নং ওয়ার্ডের নৌকা প্রতীকের সহকারী সমন্বয়কারী আলমগীর ভুইয়াকে প্রেণে মেরে ফেলার হুমকির প্রতিবাদে গতকাল মাধবদী প্রেসক্লাবের হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলন করেন আলমগীর ভুইয়া। সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মাধবদী পৌরসভায় নজির বিহীন নিরাপত্তায় অবাদ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যাহা মাধবদী পৌরবাসী সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নেয়। এই নির্বাচনকে ঘিরে ১১নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী নওশের আলীর সাথে প্রতিদ্বন্ধিতা হয় সাবেক কাউন্সিলর এ আর বোরহানের। ২১টি ভোটের ব্যবধানে এ আর বোরহান নওশের আলীর সাথে পরাজিত হয়। এ পরাজয়কে কেন্দ্র করে মাধবদী পৌরসভার মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক সাহেবের সহকারী সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন মোঃ আলমগীর ভূইয়া। আলমগীর ভূইয়া ১১নং ওয়ার্ডে কেন্দ্রে মেয়রের সমর্থনে কাজ করেছিলেন। কোনো কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে বিপক্ষে কাজ করেননি। কিন্তু পরাজিত কাউন্সিলরের সমর্থকগণ আলমগীর ভূইয়ার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাকে বিভিন্ন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রাণে মেরে ফেলা সহ নানা ধরনের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। এ হুমকি পেয়ে আরমগীর ভ’ইয়া নিজে অসুস্থ হয়ে পরে। আলমগীর হোসেন ভুইয়া তার লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন গত ২০১২ইং সালে আমার ছোট ভাই মাসুদ আলম ভূইয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এসব কারনে এবং তাদের অব্যাহত হুমকি ও অসুস্থতার কারণে আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পরি এবং সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দাতাদের সাথে মোবাইল ফোনে বিতর্কে জড়িয়ে পরি। এসময় আমার মনের অজ্ঞাত সারে কাকে কি বলেছি আমার মনে নেই। যদি মোবাইলে আমার অজান্তে কিছু বলে থাকি সবাই আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। অপর দিকে আমি নির্বাচনের দিনই অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে জানতে পারলাম হুমকি দাতারা আমার বক্তব্যকে এডিট করে সম্মানিত মেয়র ও অন্যান্যদের জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল করেছে। এ ক্ষেত্রে আলমগীর ভুইয়ার সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো ভাইরালকৃত বক্তব্যের সাথে মেয়র মহোদয় ও অন্যান্য মান্যগন্য ব্যক্তিগণের কোন সম্পৃক্ততা নাই। তর্ক বিতর্ক বিষয়টি সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত। কারণ হিসেবে আলমগীর ভুইয়া আরো বলেন অতীতে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে এবং আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তখন তিনি আরো অসুস্থ হয়ে যান। বর্তমানেও তিনি হুমকির মুখে দিশেহারা। তার নিরাপত্তা বিধানে পুলিশ প্রশাসন সহ ও স্থানীয় মেয়র মহোদয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করেন এবং ভাইরালকৃত অডিও রেকর্ডটির তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।