নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিতে সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজ্জাকিরের নিহতের ঘটনায় দায়ীদের পরিচয় প্রকাশ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে পরিবার।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন মুজাক্কিরের বাবা নূরুল হুদা নোয়াব আলী বলেন, আমার সহজ-সরল ও মানবিক ছেলেটাকে কে বা কারা এমন নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করতে পারল, তাদের একটু দেখতে চাই। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুজ্জাকিরের হত্যাকারীদের পরিচয় প্রকাশের দাবি জানাই।
লিখিত বক্তব্যে বোরহানের বড় ভাই মো. নূর উদ্দিন বলেন, মুজাক্কির সাংবাদিকতা পেশার পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক বিভিন্ন কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সব সময় অসুস্থ ও মুমূর্ষু রোগীদের পাশে দাঁড়াতেন। মুজাক্কির ২৬ জন রোগীকে নিজের শরীর থেকে এ নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত দিয়েছেন।
মুজ্জাকিরের মা মমতাজ বেগম বলেন, আমার ছেলেকে যে এমন নির্দয়ভাবে মেরেছে, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার বিচার চাই।
গত শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশির হাট পূর্ব বাজারে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ, ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। ওই সংবাদ সংগ্রহ করার সময় গুলিবিদ্ধ হন দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও অনলাইন পোর্টাল বার্তা বাজারের স্থানীয় প্রতিনিধি মুজ্জাকির। ওই দিনই মুজাক্কিরকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বুরহানের বাবা চরফকিরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নূরুল হুদা অজ্ঞাতদের আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
মুজাক্কির হত্যা মামলাটি পিবি আইতে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা পিবি আইয়ের পরিদর্শক মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।