শনিবার দুপুরে খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশ উপলক্ষে ১৮টি রুটের বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এরফলে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ওই রুট গুলোতে বাস বন্ধ থাকবে। কোন ধর্মঘট ছাড়াই কেন বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়া হলো তার সুর্নিষ্ট কারণ জানানো হয়নি। তবে খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা বলেছেন, বিএনপির মহাসমাবেশ উপলক্ষে যে কোনো ঝামেলা হতে পারে। ওই ঝামেলা এড়াতে বাস চালাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন পরিবহনশ্রমিকেরা। এ জন্য শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টা শহরের কোনো পরিবহন ছেড়ে যাবে না এবং কোনো পরিবহন শহরে ঢুকবে না। এটা কোনো ধর্মঘট বা কর্মবিরতি নয়, বিশৃঙ্খলা এড়াতে পরিবহনচালকেরাই ওই পদক্ষেপ নিয়েছেন।’
খুলনা বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, শনিবার খুলনা বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে নেতা-কর্মীদের ঢল ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে ওই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সমাবেশকে প- করার জন্য এটি পূর্বপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশে মানুষের ঢল নামবে বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা। পরিবহন বন্ধ করা হতে পারে বিষয়টি মাথায় রেখেই সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এর আগে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় মহাসমাবেশ বানচাল করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। সমাবেশ উপলক্ষে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার করারও অভিযোগ দলটির পক্ষ থেকে করা হয়েছে। এদিকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সমাবেশ করার জন্য লিখিত অনুমতি পায়নি বিএনপি। খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘পরিবহন বন্ধ করা মানে সমাবেশ হবে না, এটা ভাবার কোনো অবকাশ নেই। পরিবহন বন্ধ রাখা মানে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ।’ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ওই মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি। মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর। বিশেষ অতিথি থাকবেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী ও যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।