বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল গত শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তান নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা, জাকির সুপার মার্কেট, ফুলবাড়িয়া মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক কর্মচারীদের মাঝে নগদ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহা. দেলাওয়ার হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য আব্দুস সবুর ফকির, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য ও শাহাবাগ থানা আমীর আহসান হাবীব, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য আশরাফুল আলম ইমন, শাহিন আহমদ খান প্রমুখ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আজকে গোটা দেশে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এখানে কথা বলার অধিকার নেই, জোরে নিঃশ্বাস নেওয়ার অধিকার নেই, বেঁচে থাকার অধিকার নেই এমনকি স্বাভাবিক মৃত্যুর কোন গ্যারান্টিও নেই। সরকারি উদ্যোগে মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা তো দূরের কথা বরং সরকারের উর্দ্ধতন কর্তা ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের নাগরিকদের দু’মুঠো রুটি রুজির ক্ষেত্রগুলো ন্যাক্কারজনকভাবে কেড়ে নেওয়ার মত ঘটনা ঘটছে দিনের পর দিন। জামায়াতে ইসলামী সবসময় দল-মত, জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সকল ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে। জামায়াত ইসলামীর চার দফা কর্মসূচির মধ্যে একটি অন্যতম কর্মসূচি হচ্ছে সমাজসেবা ও সমাজ সংস্কার। মানুষের কল্যাণে কাজ করা এটা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে আমরা বিশ্বাস করি। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে যেকোন বিপদ আপদ ও দূর্যোগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সব সময় মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে।
নূরুল ইসলাম বুলবুল আরও বলেন, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। আমরা বাংলাদেশে ইসলামের সুমহান আদর্শের আলোকে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। যেখানে মানুষের সকল মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন হবে। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা থাকবে। তিনি সকলকে সেই কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পাশে থাকার উদাত্ত আহবান জানান। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।