দিনাজপুর বন বিভাগের চরকাই (বিরামপুর) রেঞ্জের অধিন বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় চলছে অর্দ্ধ শতাধিক অবৈধ করাতকল। দীর্ঘদিন ধরে এসব করাতকল চললেও বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের তেমন নজরদারি নেই। বন বিভাগের চরকাই (বিরামপুর) রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার জানান, এই রেঞ্জের অধিন দুই উপজেলায় ৭ হাজার ৬২৫ একর বনভ’মি রয়েছে। এই বনভ’মিতে প্রাকৃতিক শাল, পলাশসহ সহশ্রাধিক ঔষধি গাছ রয়েছে ্এবং সৃজিত বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা রয়েছে। সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী পৌরসভা ব্যতিত বন এলাকার ১০ কিলোমিটার, সীমান্তের ৫ কিলোমিটার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০০ মিটারের মধ্যে কোন করাতকল স্থাপন করা যাবেনা। তাই এই বিশাল বন অধ্যসিত দুই উপজেলায় করাতকল স্থাপনের সুযোগ খুবই কম। তদুপরি বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২০টি করাতকল স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি করাতকলের লাইসেন্স রয়েছে। অবশিষ্ট ১২টি করাতকলের দু’একজন আবেদন করলেও বাঁকীরা কেউ আবেদনই করেন নাই। অপরদিকে বন পরিবেষ্টিত নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৪৬টি করাতকল রয়েছে। এসব করাতকলের লাইসেন্সের জন্য কেউই আবেদন করেন নাই। তিনি আরো বলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলায় বন ভ’মির ১০ কিলোমিটারের মধ্যে সবগুলো করাতকল স্থাপিত হওয়ায় ঐ সকল করাত কল লাইসেন্স পাওয়ার উপযুক্ত নয়। এব্যাপারে চরকাই (বিরামপুর) রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার যুগান্তরকে জানান, ইতিপূর্বে অবৈধ করাতকল মালিকদের কল বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছিল। করোনার কারণে অভিযান চালানো হয়নি। তবে অচিরেই প্রশাসনকে সাথে নিয়ে করাতকল গুলোতে অভিযান চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দিনাজপুর জেলা ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর মোকাররম হোসেন যুগান্তরকে জানান, অচিরেই করাতকল মালিকদের নোটিশ দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের দিনাজপুরের সিনিয়র ক্যামিস্ট সামিউল আলম জানান, কোন করাতকল পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়ে থাকলে তাদেরকে ছাড়পত্রের আওতায় আনা হবে।