১লা মার্চ গাজীপুর জেলার জন্মদিন। ১৯৮৪ সালের এই দিনে এই জেলার জন্ম। গাজীপুর জেলার প্রস্তাবক ছিলেন তৎকালীন গাজীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মোঃ হাবিবুল্লাহ। গাজীপুর জেলার জন্মদিনে হাবিবুল্লাহ সাহেবের সহধর্মীনি বেগম রোকেয়া হাবিবকে ফুলেল শুভেচছা জানিয়েছে গাজীপুর জেলা প্রেসক্লাব ও চেতনা গাজীপুর নামে সংগঠন। একই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানানো হয় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের প্রতি। সোমবার (১ মার্চ) সকাল ১০টায় গাজীপুর শহরের হাবিবুল্লাহ স্বরণিতে অবস্থিত গাজীপুর জেলা প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে গাজীপুর জেলা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক সাবেক এমপি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম হাবিবুল্লাহর সহধর্মীনি বেগম রোকেয়া হাবিবকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। গাজীপুর জেলা প্রেসক্লাব ও চেতনা গাজীপুর নামে দুটি সংগঠন এই ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়। নিজে উপস্থিত হয়ে শুভেচ্ছা গ্রহন করেন মরহুম হাবিবুল্লাহ সাহেবের সহধর্মীনি বেগম রোকেয়া হাবিব। এ সময় গাজীপুর জেলা প্রেসক্লাব ও চেতনা গাজীপুরের সভাপতি ড. এ কে এম রিপন আনসারী,গাজীপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম ভুইয়া, অর্থ সম্পাদক ডাঃ বোরহান উদ্দিন অরণ্য, দপ্তর সম্পাদক আলী আজগর খান পিরু, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন মাষ্টার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুর জেলার নামকরণের ইতিহাস: ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকার দেশের মহকুমাগুলোকে জেলায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু গাজীপুর বাদ পড়ে যায়। এতে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অবশেষে মরহুম হাবিবুল্লাহকে (তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি) আহবায়ক ও আ ক ম মোজাম্মেল হককে(বর্তমান মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী) সদস্য সচিব করে ১৯ সদস্যবিশিষ্ট গাজীপুর জেলা বাস্তাবায়ন কমিটি’ গঠিত হয়। কমিটির সদস্যগণ গাজীপুর জেলা গঠনের দাবিতে ব্যাপক প্রচার, যোগাযোগ ও আন্দোলন করলে সরকার তাদের দাবি মেনে নিয়ে গাজীপুরকে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ তৎকালীন সরকারের অর্থসচিব এম সাইদুজ্জামান গাজীপুর জেলার উদ্বোধন করেন। আয়তনের দিক থেকে ঢাকা বিভাগের ১৭ জেলার মধ্যে গাজীপুরের অবস্থান সপ্তম এবং বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে গাজীপুর ৩৯তম।