সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার দায়ে সৌদি যুবরাজকে ‘অবিলম্বে শাস্তি দেয়ার’ দাবি জানিয়েছেন খাসোগজির প্রেমিকা ও বাগদত্তা খাদিজা চেঙ্গিস। এক বিবৃতিতে বলেন তিনি ‘এটা শুধু ন্যায়বিচারই নিশ্চিত করবে না…একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিও রোধ করবে,’। জামাল খাসোগি হত্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশের পর খাদিজা চেঙ্গিসের পক্ষ থেকে এমন বিবৃতি এলো। সৌদি আরব ইতোমধ্যেই ওই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন-সালমান ওই হত্যাকাণ্ডে তার কোনো ধরণের ভূমিকা থাকার কথা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটে খুন হন সাংবাদিক জামাল খাসোগি।
তার লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ৫৯ বছর বয়সী খাসোগি একসময় সৌদি সরকারের একজন উপদেষ্টা ছিলেন কিন্তু পরে রাজ পরিবারের সাথে তার দূরত্ব তৈরি হলে ২০১৭ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যান।
সেখান থেকে তিনি প্রতিমাসে ওয়াশিংটন পোস্টে কলাম লিখতেন, যাতে মূলত সৌদি যুবরাজের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করা হতো। তবে প্রথম কলামেই তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে তাকে ভিন্নমত দমনের অংশ হিসেবে গ্রেফতার করা হতে পারে।
খাদিজা চেঙ্গিস যা বলেছেন: সোমবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে নিষ্ঠুর হত্যার যিনি নির্দেশ দিয়েছেন সেই যুবরাজকে কোনো ধরণের বিলম্ব ছাড়াই শাস্তি দেয়া উচিৎ’।
‘যুবরাজকে শাস্তি না দেয়া হলে.. তা আমাদের সবাইকে বিপদাপন্ন করে তুলবে এবং এটা হবে মানবতার ওপর একটি দাগের মতো’। খাদিজা চেঙ্গিস একজন তুর্কি শিক্ষাবিদ ও গবেষক। তিনি বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে যুবরাজ থেকে দূরত্বে থাকা এবং সৌদি আরবের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো শাস্তি দেয়ার আহ্বান জানান। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরাসরি যুবরাজকে শাস্তি না দেয়ার সিদ্ধান্তের কারণে তার দলের মধ্য থেকেই সমালোচিত হচ্ছেন। সূত্র : বিবিসি