ঠাকুরগাঁওয়ে রেল কর্তৃপক্ষের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের কারণে ঠাকুরগাঁও রোড রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকার অসহায় হয়ে পড়া ভূমিহীন অন্তত ১৫০টি পরিবারকে সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পূণর্বাসনের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে স্থান নির্ধারণের পর এবার চলছে ঘর নির্মাণের জন্য সীমানা নির্ধারণের কাজ। বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে গৃহ নির্মাণে সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু হয়। জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৮ নং রহিমানপুর ইউনিয়নের হরিহরপুর মৌজার খাস খতিয়ান নং-১, জেএল নং-১১৫, দাগ নং যথাক্রমে -৫২৯৮, ৫৩৩২. ৫৩৪১, ৫২৬০ ও ৫২৫৪ পাঁচটি দাগে মোট ৫.৫৫ একর জমিতে ঠাঁই মিলবে ওইসব অসহায় হয়ে পড়া ভূমিহীন পরিবারগুলোর। এ বিষয়ে ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুদ্দৌলা সাহেব বলেন, নিদারুন কষ্টে দিনযাপন করছে রেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উচ্ছেদ হওয়া ভূমিহীন পরিবারগুলো। আমি জেলা আ’লীগের সভাপতি মুহম্মদ সাদেক কুরাইশীর পরামর্শে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এই ১৫০টি পরিবারের পূণর্বাসনের জন্য খাসজমি বন্দোবস্তের আবেদন করেছিলাম। উনারা ৮ নং রহিমানপুর ইউনিয়নের হরিহরপুর মৌজায় পাঁচটি দাগে মোট ৫.৫৫ একর খাস জমি বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন। বিজয়ের মাসেই এইসব অসহায় ভূমিহীন পরিবারগুলোকে সেখানে স্থানান্তর করার কথা থাকলেও জমিতে দন্ডায়মান আখ থাকায় ও পৌরসভা নির্বাচন থাকায় তা সম্ভব হয়নি। আজ ঘর নির্মাণের জন্য সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করলাম। আশাকরি খুব শীঘ্রই অসহায় পরিবারগুলোকে এখানে স্থানান্তর করা হবে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু ইউএনও স্যার এ জমি পাইয়ে দিতে সার্বিক সহায়তা করছেন এজন্য অসহায় ও ভূমিহীনরা ওই এলাকাটিকে “ইউএনও গ্রাম” হিসেবে নামকরণ করেছেন। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, রেল কর্তৃপক্ষের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের কারণে ঠাকুরগাঁও রোড রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকার অসহায় হয়ে পড়া ভূমিহীন অন্তত ১৫০টি পরিবারকে পূণর্বাসনে রহিমানপুর ইউনিয়নের হরিহরপুর মৌজায় খাস জমি বন্দোবস্ত করা হয়েছে।মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দর্শন বাস্তবায়নে সেখানে খুব শীঘ্রই তাদের পূনর্বাসন করা হবে বলেও জানান তিনি।