বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ চেয়ে নিরপেক্ষ নির্দলীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দাবি করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি, লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যু ও জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান। এই সরকার অবৈধ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার টিকে থাকার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ গণবিরোধী আইন করছে। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই অবৈধ সরকারকে সরাতে হবে।
তিনি বলেন, ‘লেখক মুশতাক আহমেদকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে গ্রেফতার করে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রেখে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রথমেই বলেছি রাষ্ট্রীয় মদদে এই হত্যাকা- হয়েছে। আমরা ওই দিনই বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে প্রায় ৭০০ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধুমাত্র সরকারের সমালোচনা করে কার্টুন বা লেখার কারণে সাত বছরের মেয়ে থেকে শুরু করে গৃহবধূকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হয়েছে আমাদের (বিএনপি)।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার সম্পূর্ণ একটি অবৈধ সরকার, অনির্বাচিত সরকার। তাদের জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে এবং টিকে থাকার জন্য এই ধরনের সম্পূর্ণ গণবিরোধী আইন তৈরি করেছে যে আইনের মাধ্যমে জনগণের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।’ বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘এই সমাবেশ থেকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দাবি করছি। আমাদের যেসব রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে বিনা কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরও মুক্তির দাবি করছি।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে সরাতে হবে এই কারণে যে এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। এই সরকারের কোনো বৈধতা নেই। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এই সরকারের পতন হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অবিলম্বে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদেরকে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। আসুন সব রাজনৈতিক দল আমরা একসাথে প্রতিবাদ করে দাঁড়াই। এই সরকারকে আবারো বলছি অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্বাচন দিন।’ যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নয়ন, কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।