কুমিল্লার সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের মুরাদনগর উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের ৮টি বেইলি সেতু মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। দীর্ঘ ১২ বছর যাবত এ অবস্থা চলতে থাকায় জরাজীর্ণ এসব সেতুর লোহার পাটাতন (স্লিপার) ভেঙ্গে যাত্রী ও পণ্যবাহী বাস-ট্রাক আটকে যাচ্ছে। ফলে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সওজ সূত্র বলছে, একইভাবে মুরাদনগর সদরে গোমতি নদীর ওপর বেইলি সেতুটি নাজুক অবস্থায় আছে। পিলারের মাটি সরে গিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে সেতুটি। এ সেতুতে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। গত ১২বছর সেতুটি একই অবস্থায় আছে। ৯ বছর আগে সেতুটির উপর দিয়ে ভারি যান চলাচল নিষেধ করে সওজ। কিন্তু কেউ নিষেধাজ্ঞা মানছে না। এ ছাড়া রামচন্দ্রপুর রোড়ের করিমপুরের সেতুটির অবস্থাও বেহাল। দীর্ঘদিন সংস্কার করা হয়নি। চুরি হয়ে গেছে সেতুটির লোহার কাঠামোর বিভিন্ন সরাঞ্জম। নাজুক সেতুটির উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে বর্তমানে চলছে যানবাহন। মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ সড়কে আটটি বেইলি সেতু রয়েছে। প্রতিটি সেতুর পাটাতন (স্লীপার) ভেঙ্গে গেছে। সম্প্রতি পাটাতন ভেঙ্গে কয়লা বোঝাই একটি ট্রাক আটকে যায়। এতে ব্যস্ততম এ সড়কে চার ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। কুমিল্লা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজায়ে রাব্বি বলেন, মুরাদনগরে ২৯টি বেইলি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে ইলিয়টগঞ্জ সড়কে ৮টি সেতু বেশ পুরনো হয়ে যাওয়া সেগুলো ঝুঁকিতে আছে। এ বেইলি সেতুগুলো স্থায়ী পাঁকা (আরসিসি গার্ডার ব্রিজ) সেতু করার জন্য অনুমোদন চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এসব সেতু পাঁচ টনের ওপরে পণ্যবাহী কোন যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়। কিন্তু ব্যস্ততম এসব সড়কে এর চেয়ে বেশি বোঝাইয়ের গাড়ি অহরহ চলছে।