আগামী এপ্রিল থেকেই বিএসটিআই নির্ধারিত মানের পেট্রোল-অকটেন উৎপাদন করতে পারবে সিলেট গ্যাসফিল্ড। ফলে কাটবে এ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জ্বালানি সংকট। সিলেট গ্যাসফিল্ডে প্রতিদিন প্রায় তিনশ’ এনজিএল বা তরল জ্বালানি উৎপাদন হয়। এগুলো থেকে কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রোল এবং অকটেন আলাদা করতে পাঠানো হয় রশিদপুর কনডেনসেট ফ্রাকশেনশন প্লান্টে। রশিদপুরে কনডেনসেট আসে বিবি আনা গ্যাসফিল্ড থেকেও। গেলো কয়েক মাস আগে বিএসটিআই প্রক্রিয়াজাত জ্বালানি পণ্যের নতুন মান নির্ধারণ করে দেয়। সেই মান অনুসরণে করতে না পারায় প্রতিদিন দেড়শো ব্যারেল জ্বালানি পুড়িয়ে নষ্ট করে দিতে হচ্ছে কেবল সিলেট গ্যাসফিল্ডকেই। ফলে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে দেশের ১২টি কনডেনসেট ফ্রাকসেনেশন প্ল্যান্টে। দেশের এই ১২টি অপরিশোধিত জ্বালানি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্ল্যান্টের সক্ষমতা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মানের জ্বালানি উৎপাদনের জন্য কাজ চলছে। সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (এলপিএম) ইঞ্জিনিয়ার রওনকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন ১৫০ ব্যারেল তেল বার্ন করতে হচ্ছে। কিন্তু এটাতে আমার কিছু করার নাই। মার্চেই আমাদের কমিশনিং শেষ হয়ে যাবে।’ ইঞ্জিনিয়ার রওনকুল ইসলাম আরো বলেন, ‘এপ্রিলের মাঝামাঝি পুনরায় জ্বালানি তেল উত্তোলনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সিলেট গ্যাসফিল্ড। তরল জ্বালানির আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রাখতে প্ল্যান্টে সংযুক্ত হচ্ছে ক্যাটালিটিক রিফর্মিং ইউনিট।’ উন্নতমানের তরল জ্বালানি উৎপাদনে দরকারি যন্ত্র সংযোজনের বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, ‘তাদের যে সক্ষমতা বাড়াতে হবে সেটা নিয়ে প্ল্যান্টের মালিকদের সাথে আমরা কথা বলছি। এছাড়া, সড়ক ও রেলপথের পাশাপাশি সিলেটে নৌপথে জ্বালানি পরিবহনের পরিকল্পনার কথাও জানান বিপিসি চেয়ারম্যান।