নীলফামারীর ডোমারে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মহিষের গাড়ীতে বিয়ে আনতে দেখা গেছে এক নব-দম্পতিকে। ডিজিটাল যুগে ৬টি গাড়ীর বহন নিয়ে ভাওয়ইয়া গানের তালে তালে মহিষের গাড়ীতে করে বরযাত্রী, নতুন বৌ নিয়ে আসার বিষয়টা দেখতে শহরের পাড়ায় মহল্লায় দর্শকের উপচে পড়া ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এমন দৃশ্যটি চোখে পড়ে শুক্রবার (১২ মার্চ) সকাল ৮টায় ডোমার চিলাহাটি মহা সড়কে। গাড়ী থামিয়ে কথা হয় নব-দম্পতির সাথে। জানাযায়, গত রাত ১০টায় উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের মাহিগঞ্জ বাগডোকরা এলাকার ডাঃ অধর চন্দ্র রায়ের ছেলে বিধান চন্দ্র রায় বর বেশে বরযাত্রীসহ ৬টি মহিষের গাড়ীর বহর নিয়ে মাইকে ভাওয়ইয়া গান বাজিয়ে নব বধুকে আনতে গেছে একই ইউনিয়নের বোড়াগাড়ী বাজার বাবু পাড়া গ্রামের রমেশ চন্দ্র রায়ের কন্যা বাসনা রানীকে। গত রাত বিয়ে সম্পন্ন শেষে আজ সকালে নববধু বাসনা রানীকে নিয়ে যাচ্ছে তার স্বামীর বাড়িতে। এ সময় রাস্তায় শত শত মানুষ গাড়ীর বহর দেখতে এবং মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে নব-দম্পতির একটি ছবি তুলতে ব্যাস্ত সময় পাড় করতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে বর বিধান চন্দ্র রায়ের পিতা ডাঃ অধর চন্দ্র রায় জানান, ডিজিটাল যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে গরু মহিষের গাড়ী। তাই আমি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে খুজে শেষ পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় থেকে ৬টি মহিষের গাড়ী ভাড়া করি এবং তাদের ২৪ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে। তবে ছেলের বিয়েতে মাইক্রোবাস ভাড়া করলে এর চেয়ে কম টাকাতেই হতো। শুধুমাত্র ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আমি মহিষের গাড়ীর ব্যবস্থা করেছি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়েছে।