রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন

মৃত মোংলা বন্দরকে জীবিত করেছেন শেখ হাসিনা: নৌ-প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা, তিনি মৃতপ্রায় মোংলা বন্দরকে জীবিত করেছেন। প্রায় ১৫০ কিলোমিটার নৌ-চ্যানেল ড্রেজিং করার উদ্যোগ তিনিই নিয়েছেন। এর ফলে আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ তৈরির পথযাত্রা শুরু হলো।’ অধিক গভীরতার বিদেশি জাহাজ প্রবেশ করাতে মোংলা বন্দরে গতকাল শনিবার (১৩ মার্চ) ইনার বার ড্রেজিং প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মোংলা বন্দরে ইতোমধ্যে ছয় হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এই বন্দরের সঙ্গে রেললাইন যুক্ত হচ্ছে, বন্দর চ্যানেলে নাব্য ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। সবকিছু মিলে এখানে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ চলছে। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও মজবুত হবে।’
এ সময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, উপমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা প্রমুখ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান, আর্ন্তজাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে ৭৯৩ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান-চায়না সিভিল করপোরেশনকে এ কাজটি দেওয়া হয়েছে। তারা ২০২২ সালের জুন মাসে কাজটি সম্পন্ন করবে। এই ড্রেজিংয়ের ফলে বন্দর চ্যানেলের নাব্য সংকট দূর হবে এবং পণ্যবাহী বিদেশি জাহাজ আগমন বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিকভাবে গতিশীলতা বাড়বে বলেও জানান চেয়ারম্যান। সমুদ্র বন্দর মোংলার সম্ভাবনা অসীম হলেও নাব্য সমস্যায় এখানে ভিড়তে পারতো না অধিক গভীরতার বিদেশি জাহাজ। পুরোদস্তুর ব্যবসাবান্ধব সমুদ্রবন্দর হতে হলে এখানে অনায়াসে প্রবেশ করতে হবে সাড়ে ৯ থেকে ১০ মিটারের গভীরতার জাহাজ। কিন্তু সেখানে সাত মিটারের গভীরতার জাহাজ ছাড়া প্রবেশ করতে না পারায় সংকট দেখা দেয়। আর সেই সংকট মোকাবেলায় নদী খননের উদ্যোগ নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com