পাবনার সুজানগরে অবৈধভাবে পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলনের সময় অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে আটক করেছে সুজানগর থানা পুলিশ। বালু উত্তোলনের জেলার মাষ্টার মাইন্ড সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদের ভাই মোঃ রফিকসহ ১৯জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় একটি ট্রলারও জব্দ করা হয়েছে। শনিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। সন্ধা সাড়ে ৭টায় সুজানগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও পাবনা জেলা প্রশাসক অফিসের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট যৌথভাবে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। পরে রফিকসহ ১৩জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদন্ড করা হয়। গ্রেফতার আরো ৬জনকে অর্থদন্ড করে ছেড়ে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুদ্দোজা জানান, পাবনা সদর উপজেলার শেষ সীমানা ও সুজানগর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হাজার বিঘার চর নামক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলন করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গোপনে খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে সেখানে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগে ১৯ জনকে আটক করা হয়। তাদের অধিকাংশের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
অসামাজিক কাজ বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন: পাবনার বেড়ায় অসামাজিক কাজ বন্ধ ও উন্নয়কাজে বাধানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। গতকাল দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপির ছেলে ড. এস এম নাসিফ শামস। তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, বেড়া পৌরসভার মুজিব বাঁধ সংলগ্ন পায়না থেকে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত চাঁদাবাজী, মাদক, জুয়া, অবৈধ মাটি ও বালি উত্তোলন সহ নানারকম অসামাজিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। তাদের কাছে জিম্মী হয়ে পড়েছে স্থানীয় সাধারণ মানুষ। শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের জন্য একটি কৃষি বিশ^বিদ্যালয়, একটি টেকনিক্যাল কলেজ ও একটি সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনে চেষ্টা করছেন ড. নাসিফ শামস। তার অভিযোগ, এলাকার ওই সিন্ডকেট দলের নেতা মানু মান্নান ব্যাপারী ও তার ভাতিজা কিরণ ব্যাপারী। তারা বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবি করে এসব উন্নয়নকাজে বাধার সৃষ্টি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে এসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তিনি।
হেযবুত তওহীদের সংবাদ সম্মেলন: ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে মিথ্যা গুজব রটিয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে এবং হেযবুত তওহীদের বিভিন্ন কৃষিভিত্তিক, শিল্পভিত্তিক ও শিক্ষামূলক উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে হেযবুত তাওহীদ পাবনা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। গতকাল রোববার সকালে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম পাবনা জেলা শাখার হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেযবুত তওহীদের পাবনা জেলা শাখার সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির। তিনি বলেন, হেযবুত তওহীদের দুজন সদস্যকে হত্যা করে পেট্রোল ঢেলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। হত্যাকা-ের ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও অপরাধীদের বিচার হয়নি। তাই দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান তারা।