বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুর্ভাগ্যের কথা আজকে আমরা যে সমাজে বাস করছি, যে রাষ্ট্রে বাস করছি এখানে সুস্থ, সুন্দর, সত্য এগুলো প্রায় বিরল প্রজাতির মতো হয়ে গেছে। পাওয়া যায় না খুঁজে। সেখানে আলালের এই লেখা আমাদের আশার আলো দেখায়। আমি সবসময় আশাবাদী লোক। আমি মনে করি এই অন্ধকার কেটে যাবে এবং অবশ্যই আমরা আলো দেখতে পাব। গতকাল রোববার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘কুপি বাতির গণতন্ত্র’ গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যে একেবারে অন্ধকারে আছি তা বলা যাবে না। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। সবাই খুব হতাশ, আমি হতাশ, আমার চোখে পানি আসে কান্না আসে। একই সাথে যে কথাটা ভাবতে হবে, আজকের এই সময়ে কোথায় সেই নেতা যে শুধুমাত্র গণতন্ত্রের জন্য, মানুষকে মুক্ত করার জন্য, সমাজকে মুক্ত করার জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছেন।
তিনি বলেন, আমি যে কথাটি বলতে চাচ্ছিলাম এই উপমহাদেশে আগের প্রজন্মের অনেক রাজনীতিবিদ যারা প্রচুর লেখালেখি করতেন। পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু তার অনেকগুলো বই আছে যেগুলো বিশ্বখ্যাত। তিনি রাজনৈতিক সাহিত্যের জন্য বিখ্যাত। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এর ‘the week’s freedom’ এই বইটি যদি না পড়েন তাহলে আমাদের রাজনীতি বৃথা। এরকম আপনি দেখবেন প্রায় প্রত্যেকটি বইতে ওই সময়কার রাজনৈতিক নেতা তারা তাদের নিজস্ব লেখার মধ্য দিয়ে সমাজকে, রাজনীতিকে, ইতিহাসকে কীভাবে আলোকিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজকে আমাদের যে সমস্যাগুলো চলছে যে আমরা কি করব? কোথায় যাব? কিভাবে যাব? চরম নির্যাতন নিপীড়নের মধ্যে আমরা কোনো পথ দেখতে পাই না। আশার আলো দেখতে পাই না। আর ম্যান্ডেলা ২৭ বছর জেলে থেকে তিনি সেখানে আলো বের করে নিয়েছিলেন। তিনি সেই আলোর মধ্য দিয়ে বর্ণবাদ মুক্ত স্বাধীন আফ্রিকা গড়েছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে ‘কুপি বাতির গণতন্ত্র’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসবে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।