বিদায় নিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। বুধবার জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও জবির অত্যাধুনিক মেডিকেল সেন্টার উদ্বোধনের পর দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ করে অনানুষ্ঠানিকভাবেই বিদায় নেন তিনি।
এ বিষয়ে উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি বিদায় নিয়েই একসঙ্গে চলে এসেছি। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন করার। নতুন ক্যাম্পাসের বাউন্ডারি তৈরি, মাটি পরীক্ষাসহ কাজ শুরু করার জন্য যা করার দরকার আমি করেছি। সবকিছুই সেট করা আছে এখন সৎ ও দক্ষ কেউ এসে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন দ্রুত অব্যাহত রাখতে পারবে।’
নতুন মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব দেয়া হলে দায়িত্ব নেবেন কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে সরকারকে বলে দিয়েছি আমাকে দায়িত্ব দেয়া হলেও আমি দায়িত্ব নেবো না। তৃতীয় মেয়াদে একই বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য হওয়ার নজির কোথাও নেই। নতুন করে দায়িত্ব নিয়ে সমালোচিত হতে চাই না।
গত আট বছরে তার প্রাপ্তির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার দ্বারা কারো উপকার হয়েছে আর কারো অপকার হয়েছে সেটা তারাই বলবে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’
জানা যায়, গতকাল নিজ দফতর থেকে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বিদায় নেয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা মহল তার কাজের প্রশংসা, আলোচনা ও সমালোচনা করেন।
সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ. কে. এম. সিরাজুল ইসলাম খান প্রথম উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক আবু হোসেন সিদ্দিক দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে এক বছরে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদকে তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। তিনিই প্রথম উপাচার্য হিসেবে ৪ বছর এই দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর একই বছরের ১৯ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানকে চার বছরের জন্য চতুর্থ উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রথম মেয়াদ শেষে ২০১৭ সালে তাকে পুনরায় দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেয় সরকার।