পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন কর্তৃক হামলা – মামলার শিকার হয়ে পথে বসেছেন গৌরনদীর দিয়াশুর গ্রামের কাতার প্রবাসী মোঃ শহিদুল ইসলাম(৩৫) নামের এক যুবক। মা হারা সোহেলী(৮) ও সাদিয়া(৬) নামের ২ কন্যা শিশুকে নিয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। শহিদুলের অভিযোগ, তার শ্বশুর, শাশুড়ী, খালা শাশুড়ী ও শ্যালকরা নানা কৌশলে তার কষ্টার্জিত ১৩ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। টাকা ফেরত চাইলে টাকা না দিয়ে উল্টো মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাকে অযথা হয়রানী করছেন। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার দিয়াশুর গ্রামের মৃত হাসান হাওলাদরের পুত্র মোঃ শহিদুল ইসলাম ওরফে শফিকুলের সাথে ২০১২ সালে বিবাহ হয়েছিল একই জেলার মুলাদী উপজেলার সাহেবের চর গ্রামের সাহেব আলী বয়াতির কন্যা সাবিনা বেগমের সাথে। তাদের ঘরে জন্ম নেয় সোহেলী ও সাদিয়া নামের ২ কন্যা সন্তান। পরবর্তিতে ২০১৬ জীবিকার তাগিদে শহিদুল কাতার গমন করেন। সেখান থেকে বিভিন্ন সময়ে ২৯ লক্ষ টাকা পাঠান স্ত্রী সাবিনা বেগমের নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে। এর আগে ৮ বছর তিনি সৌদী আরবে চাকুরী করেছেন বলে জানা যায়। শহিদুল সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন,আমার শ্বশুর সাহেব আলী বয়াতি,শাশুড়ী মাসুদা বেগম, শ্যালক রাকিব বয়াতি, সজিব বয়াতি ও খালা শাশুড়ী অজুফা বেগম বিভিন্ন এনজিও ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ ঋণ গ্রহন করেন। ঋনের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে এক সময় এলাকা ছেড়ে তারা ঢাকায় আত্মগোপন করেন। ওই সময় তারা বিভিন্ন কৌশলে ধারের টাকা পরিশোধের কথা বলে আমার স্ত্রীর নিকট থেকে সর্ব্বমোট ১৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু যথা সময়ে টাকা পরিশোধ না করে তারা নানান তালবাহানা শুরু করেন। এনিয়ে তাদের সাথে আমার ও আমার স্ত্রীর বিরোধ সৃষ্টি হয় এবং একাধিকবার শালিশ বৈঠকও বসে। তিনি আরও জানান, আমার স্ত্রী অন্যদেরও টাকা ধার দিয়েছিল। পাওণা টাকা চাইতে গিয়ে গত ২০/১১/২০২০ তারিখে কতিপয় দুষ্কৃতিকারীর হাতে সে নির্মমভাবে নিহত হয়। স্ত্রী সাবিনার মৃত্যূর খবর পেয়ে ২৪/১১/২০২০ তারিখ আমি কাতার থেকে দেশে চলে আসি। ব্যাংকে গিয়ে দেখতে পাই আমার স্ত্রীর একাউন্টে কোন টাকা পয়সা নেই। এ কারণে আমি হতবিহবল হয়ে পরি। এর পরবর্তিতে গত ২৩/০২/২০২১ তারিখ সন্ধ্যায় তাদেরকে আমার বাড়ীতে ডেকে আনা হয়। পাওনা টাকা চাওয়া হলে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাকে মারধর করে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে। এর পরে উল্টোভাবে আমার শ্যালক রাকিব বয়াতি মিথ্যা অভিযোগ এনে বরিশালের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে আমার বিরুদ্ধে গত ০১ মার্চ একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তিতে নিরুপায় হয়ে শহিদুল ইসলাম শ্বশুর সাহেব আলী বয়াতি,শাশুড়ী মাসুদা বেগম, শ্যালক রাকিব বয়াতি, সজিব বয়াতি ও খালা শাশুড়ী অজুফা বেগমের বিরুদ্ধে একই আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা যায়। বর্তমানে শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শহিদুল ইসলাম। তাই হামলা-মামলা থেকে রেহাই পেতে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।