আমরা আজকাল অফিস, সংসার নিয়ে সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যে থাকি। সব একসাথে সামলাতে যেয়ে নাকানি চোবানি খেতে হয়। সবশেষে রাতে পরিবারের সাথে ভরপেট খেয়ে ঘুমের দেশে তলিয়ে যায়। কিন্তু এতে করেই তৈরি হয় সমস্যা। ঘুমের মধ্যেও যে মেদ জমতে পারে এ বিষয়ে কি আপনার জানেন? আর এই পেটের মেদ এড়াতে চাইলে কিছু নিয়ম আপনাকে মেনে চলতে হবে।
পেটের মেদ কমাতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন বা জিমে ভর্তি হয়েও অনেকে তেমন কোন পরিবর্তন পায় না। এজন্য মানতে হবে কিছু নিয়ম। চলুন জেনে নেওয়া যাক।: ১. দেরি করে ঘুমাতে যাবেন না। প্রতিদিন একটা সময়েই বিছানায় যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এতে ঘুম যেমন গভীর হবে, তেমন তা শরীরের ক্যালরি পোড়াতেও সাহায্য করে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম মেদ কমাতেও দরকার। যত বেশি গভীর ঘুম হবে, তত বেশি কমবে শরীরের মেদ। কারণ, গভীর ঘুমের সময় ব্রেন সব থেকে বেশি সক্রিয়ভাবে কাজ করে থাকে। এটি শরীরের শক্তিকেই ব্যবহার করে বডি ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।
২. ঘুমানোর আগে দেখে নিন যে যেই ঘরে আপনি ঘুমাচ্ছেন সেই ঘরটি অন্ধকার রয়েছে কিনা। ঘরের সব লাইট নেভানোর পাশাপাশি দেখে নিন ঘরের জানালার পর্দাগুলি যেন ঠিকঠাক দেওয়া থাকে। এসবের পেছনে আসলে রয়েছেন বৈজ্ঞানিক যুক্তি। অন্ধকার ঘর শরীরে মেলাটনিন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি আসলে প্রভাবিত করে আমাদের মেটাবলিক হারকে যা মেদ কমাতে সাহায্য করে।
৩. বিছানায় যাওয়ার আগে নিজের মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাব এগুলো নিজের থেকে দূরে রাখুন। ঘুমাতে যাওয়ার ২ ঘন্টা আগে এগুলো সরিয়ে দিন নিজের থেকে। এই জিনিসগুলো আপনাকে ভালো ঘুমে বাঁধা সৃষ্টি করবে। ফোনের নীল আলো শরীর থেকে মেলাটনিন হরমোন নিঃসরণে বাধার সৃষ্টি করে।
৪. ঘুমাতে যাওয়ার বেশকিছুক্ষণ আগে গ্রিন টি পান করতে পারেন। ক্যাফেইন থাকার কারণে গ্রিন টি মেটাবলিজম রেট বাড়ায়। ফলে দ্রুত ক্যালরি বার্ন হয়। তবে বেশি পরিমাণে চা খেলে আবার উল্টো ঘুম আসবে না।