মনের মতো করে নিজের ঘরকে কে না সাজতে চায়। সোফায় আরাম করে বসার জন্য কুশনের প্রচলন শুরু হয় একটা সময় থেকে। এখন ঘরের চেহারায় আনা যায় নতুনত্ব শুধু কুশন দিয়েই। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন পকেটে বাড়তি চাপও না পড়ে। একটু চিন্তাভাবনা করে কিছু সামগ্রী দিয়েও দারুণ সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার স্বপ্নের ঘর। কুশন দিয়ে সাজানো যায় সোফা থেকে শুরু করে বিছানাও। রাখতে পারেন ঘর বাবারান্দার এক কোণে রাখা দোলনাটাতেও। তবে সব ঘরের জন্য সব কুশন নয়। আবার ভেবেচিন্তে বাছতে হবে কুশন কভারও। ইদানিং যে কোন শপিং মলেই কুশন ও কুশন কভার পাওয়া যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে দাম এবং মানের দিকে। রং বা নকশায় মিল না থাকলেও অন্তত একই কাপড়ে তৈরি কুশন ব্যবহার করা উচিত।
গরমের সময় বব্যহার করুন একটু গাঢ় রঙ, আর গরমের তীব্রতা কম হলে অপেক্ষাকৃত হালকা রঙের কুশন কভার ব্যবহার করা যেতে পারে।
বসার ঘরে: লিভিং রুমের পর্দার কাপড়ে যে ধরনের প্রিন্ট থাকে সেই প্রিন্টের সঙ্গে মিল রেখে কুশন বানাতে পারেন। একই রকম ডিভানের ক্ষেত্রেও। তবে তিনটি কুশন দেওয়াই ভালো ডিভানে। ডিভান সাধারণত গোল্ডেন বা অফহোয়াইট কিংবা চকলেক রঙের হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে লাল, কালো বা ডিপ গোল্ডেন রঙের কুশন ব্যবহার করতে পারেন। লিভিং রুমে কার্পেটের ওপর বড় কুশন ছড়িয়ে রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে ব্লক বা বাটিকের কুশন হলে দেখতে ভালো লাগবে। আর একটু ভারি কাপড় হলে ভালো হয়। কারণ ফ্লোরের কুশনগুলো বসার জন্য ব্যবহার করা হয়। তাই সুতি ভারী কাপড় ব্যবহার করাই ভালো। বিভিন্ন হাতের ও স্ক্রিন প্রিন্টের কাজ করা কুশনও দেখতে ভালো লাগবে।
শোয়ার ঘরে: সব সময় ছোট সাইজের কুশন বেছে নিতে পারেন বিছানার ক্ষেত্রে। বিছানার ওপর গোল, লম্বা, চার কোনা অথবা তিন কোনা কুশন বেশ ভালো দেখাবে। অপেক্ষাকৃত পাতলা হলে ভালো হয় বিছানার জন্য কুশন কভারের কাপড়টা। এক্ষেত্রেও প্রধান্য দিতে হবে বিছানার চাদরের রঙকে। বেশ মানানশই হবে হালকা রঙের। এতে স্নিগ্ধ আরস জীব থাকবে রুমটি।
শিশুরঘরে: শিশুর মানসিকতার দিকে লক্ষ রেখেই শিশুর ঘরে কুশন কভার রাখলে ভালো হয়। ওদের পছন্দ সই রাখতে পারেন। বিছানায়তো রাখতেই পারেন প্রজাপতি, টেডিবিয়ার, সিনড্রেলা বা ফুটবলের নকশায় তৈরি কুশন কভার, শিশুর ঘরে যদি ডিভান থাকে তাহলে সেখানেও এমন কুশন রাখতে পারেন। তবে এই ঘরের জন্য একটু গাঢ় রঙের কাপড় বেছে নেওয়া ভালো, নইলে সহজেই নোংরা হয়ে যেতে পারে।
আকার: বর্তমান সময়ের স্ট্যান্ডার্ড সাইজ ১৪ বাই ১৪ ইঞ্চি সাধার সোফার কুশনের। যে কোনো আকৃতি যেমন চারকোনা বা গোল হতে পারে। অনেকে ব্যবহার করে থাকেন ১৮ বাই ১৮ ইঞ্চি কুশনও। এক্ষেত্রে বড় ডিজাইনের সোফা হলে ভালো হয়। আবার অনেক সোফায় গদির পরিবর্তে কুশন রাখা হয়। সেক্ষেত্রে ৩২ বাই ৩২ ইঞ্চি কুশন দেখতে ভালো লাগে। এসব বড় কুশনের ক্ষেত্রে এর ওপর ছোট কুশন রাখতে পারেন। যার সাইজ ২২ বাই ২২ ইঞ্চি হতে পারে।
কোথায় পাওয়া যাবে: বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসও পেতে পারেন –যেমন আড়ং, যাত্রা, নিপুণ, বিবিয়ানা, পিরাণ, কে-ক্রাফট, জয়িতায় পাওয়া যাবে নানা ধরনের কুশন। এসব জায়গায় পাওয়া যায় সুতি এবং খাদিকা পড়ের কুশন। এছাড়া নিউ মার্কেট থেকে কিনতে পারেন বাহারি ডিজাইন আর রঙের কুশন। সেখানে চাইলে আপনি নিজের মাপ মতো কুশন বানিয়েও নিতে পারে। ডিজাইন আর আকৃতির কারণে কুশনের দাম কম-বেশি হয়। তবে প্রতি পিস কুশন ১৫০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন।