মুকুলের গন্ধ ছড়িয়ে এখন পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে আমের গুটি। ৭ থেকে ১০ দিন পর এই গুটি পরিপক্ক হবে। তখন কাঁচা আমের টক-ঝাল ভর্তা সবাই মজা করে খাবে। তবে আরও প্রায় ২ মাস অপেক্ষা করতে হবে পাকা আমের স্বাদ নেয়ার জন্য।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম চাষিরা বলছেন, চলতি মৌসুমে আমের রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন হবে। কারণ এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে আছে। আর বর্তমান সময়ে উঁকি দেয়া আমের গুটি টিকিয়ে রাখতে চলছে জোর তৎপরতা। গুটি টিকিয়ে রাখতে প্রতিদিন আম বাগানে সেচ দেয়া হচ্ছে এবং পোকার হাত থেকে আম বাঁচাতে ছত্রাকনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের শিবতলা এলাকার আম ব্যবসায়ী সজিব জানান, এবার বাগানের প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণ আমের মুকুল আসে। সে মুকুল ফেটে অধিক পরিমাণ গুটিও আসে। তবে গেল সপ্তাখানেক আগে একদিনের হালকা বৃষ্টি কিছুটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চলছে জোর তৎপরতা।
শিবগঞ্জ উপজেলা ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামিম জাগো নিউজকে জানান, প্রতিটি আম চাষি গাছে গুটি টিকিয়ে রাখতে পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে।
যে পরিমাণ গাছে মুকুল এবং গুটি আছে, যতি রক্ষা করা যায়-তবে গত মৌসুমের চাইতে এবার আমের ফলন ভালো হবে এবং দামও ভালো পাওয়া যাবে। তিনি আরও জানান, গাছে মুকুল আসার সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশ হতে অনলাইনে যারা আম কেনা-বেচা করেন তারা যোগাযোগ শুরু করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সলেহ আকরাম জাগো নিউজকে জানান, গাছে গাছে অজস্র মুকুল ও গুটি দেখে বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, আমচাষি ও বাগান মালিকরা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী পরিচর্যা আর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের উৎপাদন বাড়ছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।