করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় এবারো রাঙ্গামাটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হবেনা বৈসাবী উৎসব। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র-ণৃতাত্বিক জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী উৎসব বৈসাবীতে এবার হবেনা বৈসাবী র্যালি,কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসানোসহ অন্যান্য সামাজিক উৎসব। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলাসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এবার বৈসাবী উৎসব পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বৈসাবী উৎসব উদযাপন কমিটি ২০২১।
বৈসাবী (বিজু, সাংগ্রাইং, সাংক্রান, সাংক্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু-২০২১ উদযাপন কমিটি) উৎসব পালন না করার বিষয়টি নিশ্চিত করে উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ইন্টু মনি তালুকদার জানিয়েছেন, সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কমিটির পক্ষ থেকে সর্বসম্মতিক্রমে বৈসাবী উৎসব পালন না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, দেশব্যাপী করোনা মহামারীর কারণে সরকারি নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের আয়োজিত সব অনুষ্ঠান স্থগিত করেছি। জনসমাবেশ হবে এমন অনুষ্ঠান বাদ দেয়া হয়েছে, তবে প্রকাশনা বের করা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটিতে বসবাসরত ১৩টি সম্প্রদায়ের ক্ষুদ্র- ণৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে বিজু, সাংগ্রাইং, সাংক্রান, সাংক্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু উৎসব পালন করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র-ণৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বৈসাবী উপলক্ষে ৯ এপ্রিল থেকে উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে র্যালিসহ বিভিন্ন ধরনের পাহাড়ি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করতে পাহাড়ের ক্ষুদ্র-ণৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর মানুষ প্রতি বছর অন্যান্য আয়োজনের পাশাপাশি ৩দিন ব্যাপী বৈসাবী উৎসবের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের ১ম দিনে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসানো হয়, ২য় দিন মুল বিজু এবং ৩য় দিনে চাকমা,ত্রিপুরা সম্প্রদায় গোজ্জাই-পোজ্জা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের ৩য় দিনে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পানি খেলা উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পাহাড়ের বৈসাবী উৎসব।