জেলার লোহাগড়ায় করলা চাষে হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে। চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় খুশি উপজেলার নলদী ও নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের দুই হাজারের বেশি কৃষক। এসব করলা খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এসব করলা চাষিরা। কৃষি বিভাগ জানায়, জেলার লোহাগড়া উপজেলায় ১০৫ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হয়েছে। যার অধিকাংশই নলদী ইউনিয়নের নওয়াপাড়া, বারইপাড়া, গাছবাড়িয়া ও জালালসী ও পাশ^বর্তী নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের ব্রাহ্মণডাঙ্গা ও বাড়ীভাঙ্গা গ্রামের মাঠে চাষ হয়েছে।
জানাগেছে, প্রায় এক যুগ আগে লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নে করলা চাষ শুরু হয়। লাভ বেশি হওয়ায় পরবর্তীতে নোয়াগ্রাম ইউপির ব্রাহ্মণডাঙ্গা ও বাড়ীভাঙ্গা গ্রামে চাষ ছড়িয়ে পড়ে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় এ এলাকার মানুষ করলা চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। আবহাওয়া ও মাটির গুনাগুণ উচ্ছে চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলনও ভালো পাচ্ছেন চাষিরা। বিভিন্ন জাতের করলার চাষ হয়েছে এ এলাকায়।
বারইপাড়া গ্রামের করলা চাষি নূর মিয়া বলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় করলা চাষে অনেক বেশি লাভ হয় যার কারণে দিন দিন এ এলাকায় করলার আবাদ বাড়ছে।
চাষি আক্তার হোসেন খান বলেন, করলা চাষের মধ্যদিয়ে এ এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। এক যুগের অধিক সময়ে করলা চাষের মাধ্যমে পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। বাড়িতে পাঁকাঘরের পাশাপাশি সন্তানদের পড়াশোনাসহ সাংসারিক সব খরচই চলে করলা চাষের টাকা দিয়ে।
করলা চাষি রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতি কেজি করলা মৌসুমের শুরুতে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করেছি।
নড়াইল কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর উপ-পরিচালক দীপক কুমার দে বলেন, রবি মৌসূমে নড়াইল জেলায় ৩ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। এর মধ্যে লোহাগড়া উপজেলার দুটি ইউনিয়নেই ১০৫ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বিষমুক্ত ও স্বাস্থ্য সম্মত উচ্ছে চাষাবাদে সার্বক্ষণিক চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি আগামীতে এ এলাকায় করলাসহ অন্যান্য সবজির চাষাবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে।