সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ধনবাড়ীতে নতুন উদ্ভাবন ডায়াবেটিক ধানের পরীক্ষামূল চাষ ঘোড়াঘাটে মাদক বিরোধী অভিযানে ১০ জন গ্রেফতার ফরিদপুরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী পালিত ডিমলায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা তীব্র তাপদাহ হাকিমপুরে ৪০০ শিক্ষার্থী পেলো ছাতা সফিউদ্দিন একাডেমিতে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও প্রাক্তন গুণীজন ছাত্রদের সম্মাননা বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক পেলেন গজারিয়ার মাইশা তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা জননেতা মতিয়ার রহমান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের সংবাদ সম্মেলন চাটখিলে দাখিল কৃতি শিক্ষার্থীদের সংর্বধনা

চাঁদে নামার অবতরণযান তৈরি করবে স্পেসএক্স

আইটি ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা তাদের আগামী চন্দ্রাভিযানের সময় যে অবতরণযানটি মানুষ নিয়ে চাঁদের বুকে নামবে – তা নির্মাণ করার দায়িত্ব দিয়েছে নকুবের ব্যবসায়ী ইলন মাস্কের রকেট নির্মাতা কোম্পানি স্পেসএক্স-কে। এ দশকের শেষ দিকে আর্টেমিস নামে এক অভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদে মানুষ পাঠাবে নাসা । এতে নভোচারীদের মধ্যে একজন নারীও থাকবেন যিনি হবেন চাঁদের বুকে অবতরণকারী প্রথম নারী। ওই অভিযানের আরো একটি লক্ষ্য হচ্ছে চাঁদে অবতরণকারীদের মধ্যে একজন অশ্বেতাঙ্গ নভোচারী রাখা।

স্পেস এক্স যে চন্দ্রযানটি তৈরি করবে তা তাদের ‘স্টারশিপ’ নামের মহাকাশযানের ডিজাইনের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হবে। এই স্টারশিপ এখন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। নাসার সাথে স্পেসএক্সের এই চুক্তির মোট মূল্য হচ্ছে ২৮৯ কোটি ডলার।
এই চন্দ্রযানে কি থাকবে? ইলন মাস্কের কোম্পানি বহুদিন ধরেই স্টারশিপ নামের মহাকাশগামী রকেট-যান তৈরির কর্মসূচি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কল্পবিজ্ঞান কাহিনিগুলোতে যে ধরনের গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে ঘুরে বেড়ানো মহাকাশযানের কথা বলা হয় – সেই ভাবনা থেকেই এই স্টারশিপ তৈরি হচ্ছে। এর দীর্ঘমেয়াদি উদ্দেশ্য মঙ্গলগ্রহে মানুষেরিআবাস প্রতিষ্ঠা। এ যানটি মূলত চাঁদের কক্ষপথে থাকা মূল মহাকাশযান থেকে নভোচারীদের চাঁদের মাটিতে নামানো এবং সেখান থেকে আবার মূল যানে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার কাজটি করবে।
এতে থাকবে একটি কেবিন – আর দুটি “এয়ার লক”, যার মাধ্যমে নভোচারীরা চাঁদের মাটিতে হাঁটাচলার জন্য বেরুতে পারবেন। এর নাম হবে এইচএলএস – বা হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম। ১৯৬০ ও ৭০ দশকে যেসব “লুনার মডিউল” দিয়ে নভোচারীরা চাঁদের বুকে নেমেছিলেন – তার চাইতে এই এইচএলএস হবে অনেক উন্নত মানের। লুনার মডিউল ছিল আকারে অনেক ছোট। তাতে দুজন নভোচারীকে ঠাসাঠাসি করে বসতে হতো। এভাবেই ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত মোট ১২ জন নভোচারী চাঁদে নেমেছিলেন। স্পেসএক্সকে নাসার এই কাজ পাবার জন্য বেশ কয়েকটি কোম্পানির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিততে হয়েছে। এর মধ্যে ছিল আমাজনের মালিক জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন, লকহীড মার্টিন, নরথ্রপ গ্রুম্যান এ্যান্ড ড্রেপার, এবং ডাইনেটিক্স।
স্পেসএক্স-এর বাণিজ্যিক উপগ্রহ এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন সংক্রান্ত বেশ কিছু উদ্যোগ সম্প্রতি বিপুলভাবে সফল হয়েছে। তবে তাদের স্টারশিপ মহাকাশযানের কিছু মনুষ্যবিহীন প্রোটোটাইপ উড্ডয়নের পর অবতরণ করতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে ধ্বংস হয়ে গেছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com