টপ অর্ডার ব্যর্থ। তারপরও মিডল অর্ডারে দুবে, পরাগ, তেওয়াতির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় রাজস্থান রয়্যাল। ৯ উইকেটে আসে ১৭৭ রান। তবে এমন স্কোর তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দেবদূত পাডিকালের ঝড়ো সেঞ্চুরির সাথে বিরাট কোহলির ৭২ রানের দারুণ ইনিংস। বেঙ্গালুরু জিতলো হেসে খেলে ১০ উইকেটে।
মোস্তাফিজদের গুড়িয়ে আইপিএলে টানা চার ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে কোহলিরা। চার ম্যাচে তিন হারে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে রাজস্থান রয়্যালস। চলতি আসরে প্রথম সেঞ্চুরি ও দশ উইকেটে জয়ের রেকর্ড গড়লো বেঙ্গালুরু। গত বৃহস্পতিবার মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৭৭ রান করে রাজস্থান। জবাবে কোহলি-পাডিকালের বিস্ফোরক ইনিংসে ২১ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটে ম্যাচ জেতে বেঙ্গালুরু। ৫২ বলে ১০১ রানের ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন বেঙ্গালুরুর ওপেনার দেবদূত পাডিকাল। বল হাতে বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজ কুলিয়ে উঠতে পারেননি। ৩.৩ ওভারে দেন ৩৪ রান। পাননি উইকেটের দেখা। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই কড়া মেজাজে খেলতে থাকেন বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনার কোহলি ও পাডিকাল। রাজস্থানের কোনো বোলারকেই পাত্তা দেয়নি তারা। রীতিমতো কচুকাটা করেছেন দু’জন। ৫১ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন পাডিকাল। শেষ অবধি ৫২ বলে ১১টি চার ও ছয়টি ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন পাডিকাল। ৪৭ বলে ছয়টি চার ও তিন ছক্কায় ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান জ্বলে উঠতে পারেননি সিরাজ-প্যাটেলদের বোলিং তোপে। ১৮ রানের মধ্যেই জস বাটলার, মানান ভোহরা, ডেভিড মিলারদের হারায় দলটি। দলীয় ৪৩ রানে অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ফিরলে মুখ থুবড়ে পড়ে রাজস্থানের ইনিংস। দিক হারানো দলটিকে পথে ফিরিয়ে বড় সংগ্রহে পৌঁছে দেন শিভাম ধুবে, রাইয়ান পারাগ, রাহুল তেওয়াটিয়ারা। ৪২ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৬ রান করেন ধুবে। ১৬ বলে ৪টি চারে ২৫ রান করেন পরাগ। তেওয়াটিয়া ২৩ বলে ৪টি চার ও দুটি ছক্কায় ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। বেঙ্গালুরুর মোহাম্মদ সিরাজ ও হার্শাল প্যাটেল ৩টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান কাইল জেমিসন, কেন রিচার্ডসন ও ওয়াশিংটন সুন্দর।