করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সেশনজট নিরসনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর চার মাসে সেমিস্টার এবং আট মাসে সেশন শেষ করার পরিকল্পনা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। করোনার ক্ষতি পোষাতেই এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ঢাবির এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে অধিভুক্ত সাত কলেজেও এমনটা বাস্তবায়ন হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, সেশনজট কাটিয়ে ওঠার পরিকল্পনার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরপরই আমরা পরীক্ষাগুলো নিয়ে নেব। অল্প সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাসে এবং বছরভিত্তিক সেশনকে আট মাস করার একটি আলোচনা চলছে। তবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মে মাসের শেষ দিকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সেশনজট কাটানোর সম্ভাব্য উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
তার মধ্যে এটি একটি। আগে তো জীবন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। তারপর এসব বিষয় নিয়ে আমরা বসব। শিক্ষার্থীদের সেশনজট নিরসনে এবং করোনাকালিন যে সংকট আছে সেটা উত্তরণের জন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
এ বিষয়ে সাত কলেজের ফোকাল পয়েন্ট ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। তারা সময় উপযোগী পরিকল্পনার কথা ভাবছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বছরভিত্তিক সেশনকে আট মাস করা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সাত কলেজেও আমরা সেটি কার্যকর করবো। এ বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখছি। শুধু এটা না, করোনা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ঢাবি আরও যেসব পরিকল্পনা করবে তা সাত কলেজেও বাস্তবায়নে কাজ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।