গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নে নতুন কমপ্লেক্স ভবনের প্রচীর নির্মাণের বিল উত্তোলন করে এক অর্থবছর পেরিয়ে গেলেও কাজ সম্পন্ন করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি কয়েকজন সাংবাদিক সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে গেলে দেখা যায় যে, বরিশাল ইউনিয়ন পরিষদের নতুন কমপ্লেক্স ভবনের সীমানা বাউন্ডারী নির্মাণের জন্য ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে এডিপি-০৭/২০১৯/২০২০ প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। উক্ত প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না করেই গত অর্থ বছরেই সমূদয় বিল উত্তোলন করে সিংহভাগ অর্থ আত্মসাত করেন উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি তাহাজ্জত হোসেন। এ ব্যাপারে ওই প্রকৌশলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ওই প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ (প্রাচীর প্লাস্টার) আমি নিজেই করব। এলাকাবাসী ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজনৈতিক নেতা জানান, সরকার উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য উক্ত প্রকল্পের বিপরীতে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দিলেও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষে ওই প্রকৌশলী প্রাচীরের প্লাস্টার না করেই অর্থ আত্মসাতে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে। এছাড়াও তিনি পবনাপুর ইউপির ময়মন্তপুর গ্রামে লাল মিয়া প্রধানের পুকুর পার্শ্বে প্যালাসাইডিং করণের জন্য এডিপি প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ টাকা বরাদ্দ করেন। উক্ত প্রকল্পেরও যৎসামান্য কাজ করে সমূদয় টাকা আত্মসাত করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী ও সচেতন মহল জানান, উচ্চ পর্যায়ের সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই প্রকৌশলীর অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি বেরিয়ে পড়বে। তাই তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।