ভারত থেকে আমদানি করা চালের মাঝে মড়া, বিনষ্ট ও বিবর্ণ চালের পরিমান বেশি হওয়ায় ছয়টি ওয়াগন থেকে চাল খালাস বন্ধ করে দিয়েছে খাদ্য বিভাগ। প্রায় তিন ধরে ওই ছয় ওয়াগন চাল সান্তাহার ষ্টেশনের খালাস স্থানে রাখা হয়েছে। ওই ছয়টি ওয়াগনে প্রায় ৩৫৪ মেট্রিক টন ভারতীয় চাল রয়েছে বলে বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষানাগার (সিএসডি) কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দেশের আভ্যন্তরীন খাদ্য সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রনালয় ভারতের সাথে জি টু জি চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ট্রেন পথে চাল আমদানীর সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। সে অনুযায়ী গত ৩ এপ্রিল থেকে ট্রেন পথে বাংলাদেশের দর্শনা রেল বন্দর হয়ে ভারত থেকে পাঁচ র্যাকে ২০৫ ওয়াগন চাল বাংলাদেশে প্রবেশ করে সান্তাহার জংশন ষ্টেশনে আসে। আমদানিকৃত চালের পরিমান প্রায় ১২ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন। আমদানি করা চাল পরিক্ষা নিরিক্ষা শেষে সান্তাহার কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষানাগারে মজুদ করে রাখা হচ্ছে। এ পর্যন্ত আট হাজার ৩৭৬ মেট্রিক টন চাল ওয়াগন থেকে খালাস করা হয়েছে বলে সান্তাহার কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষনাগারের ব্যবস্থাপক দুলাল হোসেন জানিয়েছেন। ছয়টি ওয়াগনের চাল খালাস বন্ধ রাখার বিষয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে মোবাইল ফোনে বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফুজ্জামান বলেন, আমদানি করা চালের মধ্যে ওই ছয়টি ওয়াগনের চালে মড়া, বিনষ্ট ও বিবর্ণ চালের পরিমান বেশি হওয়ায় ছয়টি ওয়াগন থেকে চাল খালাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সাধারনত চাল গ্রহনের ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন শতাংশ মড়া, বিনষ্ট ও বিবর্ণ গ্রহনের বিধান থাকলেও ওই সব ওয়াগনে থাকা চালে এর পরিমান অনেক বেশি। বিষয়টি খাদ্য বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানানো হয়েছে এবং চালের নমূনা খাদ্য অধিদপ্তর বরাবর পাঠানো হয়েছে । পরবর্তি নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত ওই ছয় ওয়াগনের চাল খালাস বন্ধ রাখা হবে।