বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
তীব্র গরমে কালীগঞ্জে বেঁকে গেছে রেললাইন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী দিদার পাশা জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার উদ্যোগে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে কর্মশালা রায়পুরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা আলী আহমেদের কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা অব্যাহত পলাশবাড়ীতে প্রচন্ড গরমে ঢোল ভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে তরমুজ বিতরণ জুড়ীতে টিলাবাড়ি ক্রয় করে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ আনারসের পাতার আঁশ থেকে সিল্ক কাপড় তৈরির শিল্পকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে-সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাউজানে পথচারীদের মাঝে যুবলীগের ফলমূল ও ছাতা বিতরণ

রোজায় পানির তৃষ্ণা কমানোর উপায়

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১

একে তো প্রচণ্ড গরম; তার উপরে সারাদিন রোজা রাখার ধকল। এ সময় পানি পিপাসা বোধ করা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। গরমে ঘামের মাধ্যমে শরীরে থেকে এমনিতেই পানি বেরিয়ে যায়। শরীর হয়ে পড়ে পানিশূন্য। ডিহাইড্রেশনের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এসব লক্ষণের পাশাপাশি পানিশূন্যতার কোরণে কিডনিজনিত সমস্যা এবং খিঁচুনির মতো মারাত্মক রোগও হতে পারে। তাই রমজানে বিভিন্ন সুস্বাদু পানীয় পান না করে বরং ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত পানি খেতে হবে। এ ছাড়াও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে রোজায় পানি পিপাসা অনেকটা কমে যায়। এজন্য খাবারের বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত অনেকেই বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন। তবে আপনার খাবারগুলো হতে হবে পুষ্টিকর এবং প্রচুর পরিমাণে পানিও পান করতে হবে। এ ছাড়াও জেনে নিন রোজায় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন-

>> বিভিন্ন পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। এর ফলে আপনি অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ করে থাকেন। কোমল পানীয়, জুস বা শরবত আপনার পেট ভরাবে ঠিকই কিন্তু শরীরে কোনো পুষ্টি দেবে না। বরং এসব পানীয় আপনার হজম প্রক্রিয়া বাঁধাগ্রস্ত করবে। যার ফলে গ্যাস, ফোলাভাব, পেটের ব্যথা এবং ওজন বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। >> পানি ওজন হ্রাস এবং নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এটি বিষক্রিয়া থেকে মুক্তি দেয় এবং ক্ষুধা কমায়। এ কারণেই সারা রাত অল্প পরিমাণে পানি পান করা জরুরি।
>> প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। আপনি যদি গরমের এই সময় শরীরচর্চা করে থাকেন; তবে প্রচুর ঘাম বের হবে। তাই খেয়াল রাখবেন সেই পরিমাণ পানি গ্রহণ করতে হবে। >> সালাদসহ বিভিন্ন খাবারে বেশি লবণ মেশাবেন না। লবণযুক্ত খাবার পরিহার করুন এ সময়। এমন খাবার শরীর থেকে বেশি পানি শুষে নেয়।
>> তাজা ফল এবং শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে রমজানে। এগুলো পানি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। দীর্ঘসময় পর্যন্ত তা অন্ত্রে থাকে এবং তৃষ্ণা কমায়। >> মিষ্টিযুক্ত পানীয় বা শরবতের পরিবর্তে তাজা ফলের রস খেতে হবে। >> খাবার খাওয়ার সময় প্রচুর পরিমাণে পানি না খাওয়ার চেষ্টা করুন। >> ইফতারে রোজা ভাঙার সময় বরফযুক্ত বা অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করবেন না। এতে আপনার রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে যায় এবং বদহজমের কারণ হতে পারে। >> চা-কফি পান থেকে বিরত থাকুন। কারণ ক্যাফেইনজাতীয় খাবারে থাকা মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য শরীর পানিশূন্য করে তোলে। >> বেশি করে শসা খান। তৃষ্ণা নিবারণ করে পানিতে ভরপুর এই সবজি। এ ছাড়াও শরীরকে শীতল করে, স্নায়ুজনিত ব্যাধি থেকে মুক্তি দেয়। ফাইবার থাকায় এটি হজমে সহায়তা করে এবং টক্সিন বের করে দেয় শরীর থেকে। >> উচ্চ তাপমাত্রা এড়িয়ে চলুন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে থাকুন। রোদের কম বের হলেই ভালো রোজার সময়। এতে পানি পিপাসা কম পাবে। সূত্র: ইজিপ্ট ইন্ডিপেনডেন্ট




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com