দৈনিক কালের কণ্ঠের একজন ফটো সাংবাদিক করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই কালের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষ ওই কর্মী যে ইউনিটে কাজ করেন, ওই পুরো ইউনিট রোববার (২৬ এপ্রিল) সকালে লকডাউন করে। এ ঘটনায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১১ কর্মী। সোমবার (২৭ এপ্রিল) অনলাইন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় কালের কণ্ঠ।
এতে বলা হয়েছে, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) নমুনা পরীক্ষা করে ওই ফটো সাংবাদিকের কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই কালের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষ ওই কর্মী যে ইউনিটে কাজ করেন, সেই পুরো ইউনিট রোববার সকালে লকডাউন করে। একই সঙ্গে, ওই কর্মী সর্বশেষ কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার দিনে আরেকটি ইউনিটের সহকর্মীদের সংস্পর্শে যাওয়ায় ওই ইউনিটও লকডাউন করা হয়েছে। আগে থেকেই ওই দুই ইউনিট আলাদাভাবে ‘সংরক্ষিত কক্ষ’ হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছিল বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
কালের কণ্ঠ আরও জানায়, ওই দুই ইউনিটসহ পুরো অফিস জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওই দুটি ইউনিটের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কালের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষ সার্বক্ষণিক ওই ফটো সাংবাদিকের খোঁজখবর রাখছে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
আক্রান্ত ওই কর্মী আইইডিসিআরের পর্যবেক্ষণে নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। উপসর্গ ও পরিস্থিতি অনুসারে তাকে প্রয়োজন হলে হাসপাতালে নেয়া হবে বলে আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তার সংস্পর্শে থাকা অন্যদেরও আজ পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে কালের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষ। আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভার ক্লিনিকে তারা নমুনা পরীক্ষা করাবেন।
কালের কণ্ঠ প্রশাসনিক বিভাগ সূত্র জানায়, ওই ফটোসাংবাদিক আগেও এক দফা মৃদু উপসর্গ নিয়ে ১৯ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। পরে গত মঙ্গলবার তিনি কিছু সময়ের জন্য কর্মস্থলে আসেন। তখন তিনি শরীরে জ্বর অনুভব করলে অফিস কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত বাসায় পাঠিয়ে দেয়। তার দুদিন পর হটলাইনে ফোনকলের মাধ্যমে তিনি করোনা পরীক্ষা করানোর পর তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র