করোনা সংক্রমণ হয় মূলত নাক-মুখ বা চোখের মাধ্যমে। চিকিৎসকরা এখন পর্যন্ত তাই বলে আসছে। সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে খুব সহজেই ছড়ায় করোনাভাইরাস। তবে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখলে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে কভিড থেকে। করোনা আক্রান্ত হলে সাধারণত ব্যথা, জ্বর, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দেয় আবার অনেক সময় উপসর্গ না-ও থাকতে পারে। করোনা আক্রান্ত কারো হাঁচি, কাশি থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস। সে কারণেই একে অপরের সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলাফেরা করতে বলা হচ্ছে বারবার। সেই সাথে মাস্ক পরতে হবে অবশ্যই। যাতে কারও শ্বাসের মাধ্যমে বাতাসে ভাইরাস ছড়ালেও তা ঢুকতে না পারে আরেকজনের শরীরে।
তবে দুই মিটার দূরত্ব কেন রাখতে বলা হচ্ছে, তা নিয়ে বার বার তৈরি হয়েছে প্রশ্ন । বিজ্ঞানীদের মত, বাতাসে থাকলেও এই ভাইরাস বেশি দূর যেতে পারে না। সংক্রমিতের শরীর থেকে বেরিয়ে, তার দুই মিটারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে। তার মধ্যেই মধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে নিচে নেমে আসে ভাইরাস। আর বাতাসে ঘুরে বেড়াতে পারে না। মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরে দু-তিন ঘণ্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকে ভাইরাস। তার পরে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এই কারণেই কোথাও হাত দিলে বারবার সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ নিয়ে হাত ধোয়ার কথা বলা হচ্ছে। সেই সাথে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।