তিলে তিলে গড়ে ওঠা এক নায়কের নাম ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি গল্পে যেমন সিনেমার নায়ক তেমনি বাস্তবেরও। দিনের পর দিন সংগ্রাম করে, শিখে, বুঝে, শুনে নায়ক হয়েছেন। সামাজিক চলচ্চিত্রে তাকে যেমন মানিয়ে যায়, তেমনি লোক গল্প, রোমান্টিক এমনকি অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্রে নানা সময়ে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। সেই সাতাত্তর থেকে শুরু, এরপর অভিনয় করেছেন প্রায় ৩০০ এরও অনেক বেশি চলচ্চিত্রে। দীর্ঘ সময় তাকে পর্দায় ওভাবে দেখা না গেলেও মাঝেমধ্যেই হাজির হন। বহু চলচ্চিত্রেই তাকে পাওয়া গিয়েছে নানামাত্রিক চরিত্রে কিংবা রূপে। সদ্য মুক্তি পাওয়া টেলিছবি ‘মরণোত্তম’ এ অভিনয় করেছেন এ বর্ষীয়ান নায়ক। সঞ্জয় সমদ্দার পরিচালিত এ টেলিছবিতে যেনন্য এক ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখা গিয়েছে, এমনটাই মনে করছেন দর্শকরা। জনপ্রিয় লেখক ও ঔপন্যাসিক সাদাত হোসাইনের ‘মরণোত্তম’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এ টেলিছবিতে নিজের অভিনয়ে যেন নিজেকেই ছাড়িয়ে গিয়েছেন ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ খ্যাত এ নায়ক।বলা যায়, নায়কের রাজকীয় প্রত্যাবর্তন। ছবিতে গ্রামের এক স্কুল হেডমাস্টারের চরিত্রে তার অভিনয় দর্শক মন ছুয়ে গিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে সবখানেই তার প্রশংসা। দীর্ঘদিন পর সত্তর দশকের এ নায়কের নতুন ফিরে আসায় দর্শক যেন ভালো লাগা খুঁজে পেয়েছে। ‘মরণোত্তম’ এ দর্শক সাড়া ও এ নায়কের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে সময়ের জনপ্রিয় নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার বলেন, প্রথমত আমি বলবো, সাদাত হোসাইনের ‘মরণোত্তম’ উপন্যাসটাকে আমি আমার মতো করে বলতে চেয়েছি। একদমই নিজস্ব স্টাইলে। কাজটি করার সময়ও ভাবিনি যে এটা এতটা সাড়া পেতে পারে কিংবা দর্শকরা পছন্দ করবে। প্রচারের পর এখন পর্যন্ত অনেক অনেক পজেটিভ মন্তব্য পাচ্ছি। সবাই কাজটিকে পছন্দ করেছেন, ভালোবাসা জানাচ্ছেন। এটাই অনেক ভালো লাগছে। তিনি আরও বলেন, আর অনেকদিন পর ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইকে দর্শকরা দেখতে পেয়েছে, তাও একটু নতুনভাবে। যারাই কাজটি নিয়ে প্রশংসা করছেন কিংবা কথা বলছেন সবাই উনার কথাও বলছেন। এটা যদি প্রত্যাবর্তন বলি তাহলে বলবো উনি দারুণ করেছেন। উনার অভিনয় নিয়ে মন্তব্য করার মত আমি এখনও কেউ হইনি তবে এটুক বলবো উনি চমৎকার করেছেন। কাজের ক্ষেত্রেও ভীষণ সহযোগিতা করেছেন। আমার প্রিয় একটি কাজ হয়ে থাকবে এটি সবসময়। বঙ্গবিডির বেজড অন বুক (বব) এর উদ্যোগে নির্মিত এ টেলিছবিতে ইলিয়াস কাঞ্চন ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, ইমতিয়াজ বর্ষণ, মাখনুন মাহিমা প্রমুখ।