রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন

সরকারি আর্থিক সহযোগিতা চান হোটেল শ্রমিক কর্মচারীরা

এম এ কাশেম জামালপুর :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৩ মে, ২০২১

মহামারীর চলমান লকডাউনে জামালপুর জেলার সকল খাবার হােটেল, রেস্তোরা, মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায়জামালপুর জেলা হােটেল শ্রমিক ইউনিয়নের কার্ডধারী প্রায় ১৫শ হােটেল শ্রমিক কর্মহীন হয়ে মানবেতরজীবন যাপনের কথা ব্যক্ত করে সংবাদ সম্মেলেন করেন জামালপুর হোটেল ইউনিয়ন।সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত সভাবেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা আব্দুল আওয়াল চিশতি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় করেন উপদেষ্টা এমএইচ মজনু মোল্লা।বক্তব্য ভারপ্রাপ্ত সভাপিত মো: স্বপন মিয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ রোকন মিয়া। অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ বলেন, জামালপুর পৌর শহরে ছােট বড় প্রায় ১৫০টি খাবার হােটেল রয়েছে। প্রতি হােটেলে গড়ে ১০/২০জন শ্রমিক কাজ করে। চলমান লকডাউনে হােটেল খােলা রেখে পার্সেল বিক্রির অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু দুঃখের বিষয় জামালপুর পৌর শহরে ১৫০ টি হােটেলের মধ্যে মাত্র ২০/২৫টি হােটেল খােলা রেখে মাত্র ২/৩ জন করে কর্মচারীশ্রমিক দিয়ে পার্শেল বিক্রি করা হয়। বাকী হােটেলগুলাে পবিত্র রমাজন মাসে ও লকডাউনে লােকসানের কারণে বন্ধ রাখেন মালিক পক্ষ। ফলে প্রায় ১৫শ শ্রমিক পবিত্র রমজান মাসেঅর্ধাহারে, আবার কেউ অনাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করেছে।ভারপ্রাপ্ত সভাপতি স্বপন মিয়া আরো বলেন, করােনা মহামারীর চলমান সময়ে ২৫০০/-টাকা করে সরকারী প্রনােদনা থেকেও হােটেল শ্রমিকরা বঞ্চিত হয়েছে। জামালপুর জেলা হােটেল শ্রমিক ইউনিয়নের কার্ডধারী প্রায় ১৫শ জন কর্মহীন অসহায় গরিব শ্রমিকদের জরুরী ভিত্তিতে সরকারি সাহায্য/ ত্রাণ সহায়তার ব্যবস্থা, কর্মহীন হােটেল শ্রমিকদের তালিকা মােতাবেক সরকারী প্রনােদনার ব্যবস্থা, হােটেল মালিকদের সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল হােটেল, রেস্তোরা, মিষ্টির দোকান খুলে দিয়ে আগের মত শ্রমিকরা যেন নিজ নিজ কর্মরত হােটেলে কাজে যােগদান করার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।অপরদিকে প্রশাসনের কাছে সাহায্যের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com