রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ অপরাহ্ন

মনোহরদীতে ভুয়া সনদে শিক্ষকতা শেষে তুলে নিলেন অবসর সুবিধাও বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ

মাহবুবুর রহমান মনোহরদী (নরসিংদী) :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৫ মে, ২০২১

নরসিংদীর মনোহরদীতে ভুয়া সনদ দিয়ে প্রভাষক পদে শিক্ষকতা শেষ করে অবসর সুবিধা তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। লাখপুর কাসেমুল উলূম ফাযিল মাদরাসার বাংলা বিভাগের অবসর প্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্য সচিব, শিক্ষক কর্মচারী কল্যান ট্রাস্টের সদস্য সচিব এবং মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে জানা যায়, ১৯৮৭ সালে লাখপুর কেইউ ফাযিল মাদরাসায় প্রভাষক পদে চাকরী নেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। পরবর্তীতে তিনি সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে তিনি অবসরে যান। চাকরীর আবেদনের সময় তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পাশের সনদ পত্রের ফটোকপি এবং মাস্টার্সের প্রবেশপত্র জমা দেন। ছয় মাসের মধ্যে স্নাতক পাশের মূলসনদপত্র এবং মাস্টার্স পাশের সনদপত্র জমা দেওয়ার অঙ্গিকার করেছিলেন। কিন্তু ৩০ বছর চাকরিজীবন পার করলেও তিনি ওই সনদপত্র জমা দেননি। অবসর গ্রহনের পর তিনি ২০১৯ সালের ২৯ জুন অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা উত্তোলনের জন্য আবেদন করেন। ২০১৯ সালে দুই কিস্তিতে ৩২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। অভিযোগে আরো জানা যায়, ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের মাদরাসা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ২০১৮ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শহিদ উল্লাহর কাছে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ভুয়া সনদের বিষয়ে অবগত করেন। পরবর্তীতে ইউএনও তার কার্যালয়ে অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলামকে ডেকে এনে জিজ্ঞেস করেন। তখন তিনি সনদ জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেন। এসময় ইউএনও অভিযুক্ত আশরাফকে অবসর সুবিধা না দিতে মাদরাসার গভর্ণিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেন। কিন্তু অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম এবং মাদরাসার গভর্ণিং বডির সভাপতি আব্দুর রউফ হিরণ গোপন চুক্তিতে আশরাফুলের অবসর সুবিধার যাবতীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেন। এ বিষয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার সকল সনদপত্র বৈধ। আপনারা যাচাই বাছাই করে নেন। লাখপুর কাসেমুল উলূম ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলামের বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন বলে সংযোগ কেটে দেন। মাদরাসার গভর্ণিং বডির সভাপতি ও চন্দনবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ হিরন বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সনদ জালিয়াতির বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। অবসর সুবিধা উত্তোলনের আগে কেউ আমাকে জানায়নি। তাছাড়া শিক্ষক কর্মচারীদের সনদপত্র যাচাই করার দায়িত্বও আমার নয়। তার ৩০ বছর চাকরিকালীন সময়ে অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয় থেকে অনেক অডিট এসেছে। সনদের বিষয়ে কেউ কোনদিন প্রশ্ন তুলেনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com