শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন

লকডাউনে বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রফতানি কমছে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৫ মে, ২০২১

ভারতে করোনা পরিস্থিতি পরিবর্তন না হওয়ায় স্থলপথে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমান্ত লকডাউনের মেয়াদ ২৩ মে থেকে আরো আটদিন বাড়িয়ে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত করেছেন বাংলাদেশ সরকার। পশ্চিমবঙ্গেও লকডাউন থাকায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানী রফতানী বাণিজ্য কমতে শুরু করেছে।

বেনাপোল দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর। এ বন্দরের বিপরীতে রয়েছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থকে ৪০০ থেকে ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। একইভাবে বাংলাদেশ থেকেও ১২০ থেকে ১৫০ টি পণ্যবাহী ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করতো।
বেনাপোলের বন্দরের বিপরীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার প্রতিদিন বাড়ছে। ফলে পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১৬মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছেন। ফলে সীমান্ত দিয়ে দুইদেশে যাত্রী যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। বাণিজ্যের স্বার্থে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি চালু রয়েছে। তারপরও কমে যাচ্ছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করতে হয়। ভারতে করোনার প্রভাব বেশী থাকায় ব্যবসায়ীরা ভারতে যাচ্ছে না। তাছাড়া সীমান্ত লকডাউন রয়েছ। যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় আমদানী রফতানী বাণিজ্য কম হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৪০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভারত থেকে আমদানি এবং ১৫০ ট্রাক পণ্য ভারতে রফতানি হতো। বর্তমানে আমদানী বাণিজ্যের পরিমাণ কমে ৩০০ ট্রাকে নেমে এসেছে। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ১৫ দিনের লকডাউন চলছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ট্রেন-বাস, অফিস বন্ধ রয়েছে। ফলে পণ্য সরবরাহ কম হওয়ায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে বিঘœ হচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের অতিরিক্ত পরিচালক মামুন তরফদার জানান, ভারতের সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং দু’দেশে চলমান লকডাউনের মধ্যে সরকারের নির্দেশনায় বন্দরে আমদানি-রফতানি সচল রয়েছে। তবে আমদানি রফতানি বাণিজ্য কমে গেছে। তিনি আরো বলেন, দেশে লকডাউন থাকায়, আমদানী কারকরা বন্দর থেকে পণ্য খালাশ করছেন না। বন্দর থেকে পণ্য খালাশ হওয়ায় বন্দর এলাকায় পণ্যজটের সৃষ্টি হচ্ছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com