বরগুনার বেতাগীতে সুপার সাইক্লোন ইয়াসের প্রভাবে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়ীবাঁধ ভেঙে ১০টি গ্রামের প্রায় সহ¯্রাধিক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে মায়ের কোল থেকে পানিতে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৬ মে) সকালের বিষখালীর নদীতে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট বৃদ্ধি পায়। পানির চাপে উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন বড় মোকামিয়া, ছোট মোকামিয়া, সরিষামুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ কালিকাবাড়ি এবং বেতাগী সদর ইউনিয়নের উত্তর বেতাগী এবং বেতাগী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পুরাতন থানা এলাকার বেড়ীবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে অন্তত ১০ গ্রামের প্রায় সহ¯্রাধিক পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। এসব এলাকার মাছের ঘের, রবি শস্যের খেত ডুবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে দক্ষিণ কালিকাবাড়ি গ্রামে পানিবন্দী ঘর থেকে আশ্রায়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় মা পারভিন বেগমের কোল থেকে পানিতে পরে ৩ বছর বয়সী ইমামুলের মৃত্যু হয়। দুপুর ১২ টায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মাকসুদুর রহমান ফোরকান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সুহৃদ সালেহীন। এসময়ে বেতাগী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লায়ন মো: শামীম সিকদার ও সাংবাদিক এমডি রিয়াজ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। বেতাগী পৌরসভার ক্ষতিগ্রস্থ বেড়ীবাঁধ পরির্দশন করেছেন বেতাগী পৌরসভার মেয়র আলহাজ¦ এবিএম গোলাম কবির। এসময়ে তিনি পানিবন্দী নাগরিকদের বাড়িতে বাড়িড়ে গিয়ে খোজ-খবর নেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সুহৃদ সালেহীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বৃদ্ধি পাওয়া পানিতে কিছু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরীর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ বেড়ীবাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। আশা করা যায় সল্প সময়ের মধ্যে বাধ মেরামত করা সম্ভব হবে।