‘দশমিনায় উন্নয়ন কাজে অনিয়ম তথ্য দিতে গড়িমসি’ জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় মঙ্গলবার খবর প্রকাশের পর রাবিস দিয়ে তৈরী ম্যাকাড্যাম সরিয়ে নেয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চরহোসনাবাদ বাজার থেকে দশমিনা সরকারি কলেজ পর্যন্ত নির্মাণাধীন সড়কে এ ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, উপজেলায় ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ দুই অর্থ বছরে ২০-২৫টি সড়কের নির্মান কাজ ফেলে রাখায় জনসাধারণের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের তথ্য দিতে গড়িমসি করে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন। স্থানীয় ভুক্তভোগী ও সরেজমিন পরিদর্শণ করে ‘দশমিনায় উন্নয়ন কাজে অনিয়ম তথ্য দিতে গড়িমসি’ জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় মঙ্গলবার খবর প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন চরহোসনাবাদ বাজার থেকে দশমিনা সরকারি কলেজ পর্যন্ত নির্মাণাধীন সড়ক পরিদর্শণ করে রাবিস দিয়ে তৈরী ম্যাকাড্যাম সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তুলে নিয়েছে। উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের নেহালগঞ্জ বাজার থেকে আদমপুর বাজার, বাশঁবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য গছানী গ্রামীন সড়ক থেকে নিজহাওলা, উপজেলার এলজিইডি দপ্তর থেকে প্রায় ২০ গজ দুরত্বে স্থানীয় সাংসদ এস এম শাহজাদার বাসভবন থেকে তমু হাওলাদার বাড়ি, দশমিনা-বাউফল আন্তঃজেলা সড়ক থেকে খানবাড়ী হয়ে বাঁশবাড়িয়া বেড়িবাধ, রনগোপালদি ইউনিয়নের যৌতা বাজার থেকে চান্দার বাঁধ, চরবোরহান ইউনিয়নের বৌ বাজার থেকে ইদ্রস মেম্বারের বাড়িসহ ২০-২৫ টি সড়কের নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখা ও নির্মাণে অনিয়ম এবং কাজ না করেই অতিরিক্ত বিল তুলে নেয়ার ঘটনায় যোগসাঁজশে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. মোকবুল হোসেন বলেন, চরহোসনাবাদ থেকে কলেজ সড়ক পরিদর্শণ করে সড়ক নির্মাণ কাজে খারাপ মাল দেবার সত্যতা পাই। তাৎক্ষণিক অন্যত্রে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছি। অন্য কোথাও যদি সড়ক নির্মাণে খারাপ মাল ব্যবহার করা হয় আমাকে ফোনে জানাবেন। জানালেই আমি ব্যবস্থা নেব।