গাইবান্ধা সদরের স্বামীর যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হলেন নাছরিন আক্তার নামের এক গৃহবধূ।
তিনি সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী। স্বামী ও তার পরিবারের অমানুষিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূ। এ ঘটনায় নাছরিনের ভাই রুহুল আমিন সোমবার (২৪ মে) সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের উত্তর কাজী বাড়ী সন্তোলা গ্রামের মৃত নছির উদ্দিনের মেয়ে নাছরিন আক্তারের সঙ্গে সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দীনা গ্রামের হোসেন আলীর পুত্র সাদ্দাম হোসেনের ২০১৩ সালের ১৯ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসাবে নগদ ৬০,০০০/-(ষাট হাজার), অলংকার বাবদ ৬০,০০০/-(ষাট হাজার) এবং অন্যান্য প্রায় ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকার আসবাবপত্র প্রদান করেন। এছাড়াও প্রতি মাসে তার বড় ভাই আল আমিন ৩/৪ হাজার করে টাকা দেন। তবুও যৌতুক লোভী সাদ্দাম ক্ষান্ত হয়নি। আরো যৌতুক হিসাবে পাঁচ লক্ষ টাকা আনার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। টাকা নিয়ে আসতে অস্বীকার করায় নাছরিনের জীবনে নেমে আসে শারীরিক নির্যাতন। বাবা মার কুপ্ররোচনায় সাদ্দাম আরো নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। এমতাবস্থায় গত রবিবার (২৩ মে) রাত ১১.০০ ঘটিকায় নাছরিনকে আবারো যৌতুক হিসাবে ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ)টাকা নিয়ে আসতে বলে সাদ্দাম কিন্তু রাজী নাহওয়ায় নাছরিনকে বেধড়ক মারধর করে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন। এতে নাছরিন অসুস্থ হয়ে পড়লে তার ভাই রুহুল আমিন সংবাদ পেয়ে বোনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এপ্রসঙ্গে জানতে চাইলে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান বলেন, উক্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।