নলছিটিতে ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’, পূর্ণিমার জোয়ার ও চন্দ্রগ্রহনের প্রভাবে ব্যাপক পানি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সুগন্ধা ও খয়রাত নদীর বেশ কিছু যায়গায় ভেড়িবাধ না থাকায় পানি ঢুকে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, ঘর-বাড়ির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভেসে গেছে শতশত পুকুরের মাছ। স্থানীয়রা জানায়, সুগন্ধা ও খয়রাত নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৩ দিন থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। নলছিটি উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে পানি বৃদ্ধি কারনে দুই শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষির আশঙ্কা করছেন। উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন যাদের ঘর-বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে রেখে খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নলছিটি উপজেলার পুরাণ বাজার, সিকদার পাড়া, মালিপুর, নাঙ্গুলি, চর বহরমপুর, সড়ই, কুশাংগল, সিদ্ধকাঠি, মোল্লারহাট, সুবিদপুর সহ বেশ কয়েকটি অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতেকরে ফসল ও ঘেড়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, নির্বাহী অফিসার রুম্পা সিকদার ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ ওয়াহেদ খান বিভিন্ন দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।