জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।
তিনি গতকাল সোমবার (৩১ মে) গাজীপুরে মূল ক্যাম্পাসে যোগদানের মধ্য দিয়ে নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
এ সময় সকলের উদ্দেশ্যে তাৎক্ষণিক বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন সামনে রেখে আমাদের পথ চলতে হবে। বর্তমান সময়ে আমরা কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই কঠিন সময়েও বাংলাদেশ অর্থনীতির দিক থেকে অনেক শক্তিশালী পর্যায়ে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে ভাবতে হবে। তারা পরীক্ষা দিতে চায়। ক্লাসরুমে যেতে চায়। পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়। তাদের আমলে নিয়ে আমাদের শিক্ষা-কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘সদ্য সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ এই বিশ্ববিদ্যালয়কে যে উচ্চতায় রেখে গেছেন সেটিতে বর্তমান সরকার ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন। আমরা সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাবো। এরই ধারাবাহিকতায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেটিকে গুরুদায়িত্ব মনে করে শিক্ষার আধুনিকায়ন ও দেশ গড়ার অগ্রসরমান চিন্তা নিয়েই কর্মক্ষেত্রে মনোনিবেশ করতে হবে। আমাদের মূল জায়গা বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ। এই ভিতের উপর দাঁড়িয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। ‘
নতুন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সব শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে গতিশীল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি সদস্যকে ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট ব্যবহারে সিদ্ধহস্ত হতে হবে। আধুনিক ও বাস্তবতা নির্ভর শিক্ষাপ্রশাসন পরিচালনায় নিজেকে যুগোপযোগী করে তৈরির কোনো বিকল্প নেই।’
উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর সমস্ত এফোর্ট এই কোভিডের দুর্যোগ কাটানোর জন্য দিচ্ছেন। পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির যে চ্যালেঞ্জ সেটিকে ধারণ করেন বলেই তিনি একইসঙ্গে শিক্ষা পরিবার তথা শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে সংকটে না পরে সেটির ব্যাপারে তিনি অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর উপাচার্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপাচার্যের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।