চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার জাতীয় ফল কাঁঠালের ফলন কম হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে স্থানীয় বাজারে কাঁঠালের ক্রয় বিক্রয় শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ফলন কম হওয়ার পাশাপাশি কাঁঠালের আকারও ছোট হয়েছে। কৃষকেরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ৩০ থেকে ৪০ ভাগ কম হয়েছে। এদিকে ফলন কম আর কাঁঠালের আকার ছোট হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন বাগানমালিক ও মৌসুমি কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা। মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায় লিচুর ফলনে এ বিপর্যয় বলে মনে করছেন বাগানমালিকেরা। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, শুধু বিরূপ আবহাওয়ার কারণে নয়, নিয়মিত পরিচর্যা না হওয়ার কারণেও এমনটি ঘটছে। জানা যায়, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এই কাঁঠাল এলাকার চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্নস্থানে যায়। এখানকার কাঁঠাল মিষ্টি রসালো ও স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় এর কদর ও রয়েছে বেশ ভাল। তাই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। নানা প্রতিকূলতা অপেক্ষা করে স্থানীয় কৃষকরা এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠাল চাষ করে অর্থনীতিতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। সরেজমিনে উপজেলার হেয়াকো, বাগানবাজার, দাঁতমারা, নারায়ণহাট, পাইন্দং ইউপির ডলু, কাঞ্চননগর ইউপির বাইন্নেচুলা, খিরামসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, বাগানগুলোতে ফল খুব একটা নেই। ফলন বিপর্যয়ের জন্য প্রকৃতির বিরূপতাকেই দায়ী করেছেন কৃষকেরা। পাইন্দং ইউপির নয়াবাজার এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, গতবছর সরকার ঘোষিত লকডাউনের জন্য কাঁঠালের পর্যাপ্ত দাম পায়নি। যা ফলে অনেক লোকসান দিতে হয়ে। গেল বছরের লোকসান ফুঁসিয়ে তোলার জন্য এবার কাঁঠালের চাষ করেছি কিন্তু এবার কাঁঠালের ফলন কম হয়েছে। যা ফলন হয়েছে তাও আকারে অনেক ছোট মনে হয় এবারও অনেক লোকসান পোহাতে হবে। সুন্দরপুর ইউপির আজিমপুর এলাকার রমজান আলী বলেন, ‘বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়, খোলা জায়গায় তার ১৫টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে ২০- ৫০টির কাঁঠাল এসেছে। তবে অন্য বছরের চাইতে এবার গাছে অনেক কাঁঠাল কম এসেছে বলে জানায়। হেয়াকো বাংলাপাড়ার কাঁঠাল বাগানের মালিক রহিম জানান, গত বছরের তুলনায় এবার গাছে খুব কমই কাঁঠাল এসেছে।গাছে প্রচুর কাঁঠালের মুকুল আসলে দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে তা প্রায় ঝরে গেছে।ফলে চরম লোকসান পোহাতে হবে। এ বিষয়ে উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র পাল জানান, “চলতি মৌসুমে কাঁঠালের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১হাজার ৩ শত।তবে এবার কাঁঠালের ফলন কম হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও অনাবৃষ্টির কারণ এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।