মাধবদী বাজারের ঘরোয়া বাজার সুপার শপ নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২ জুন বুধবার দিবাগত গভীর রাতে মাধবদী পৌর শহরের বড় মসজিদ রোডের পৗর শহরের কেন্দ্রস্থল মাধবদী বাজারের জনবহুল এলাকা মাদরাাসা মার্কেট সংলগ্ন ঘরোয়া বাজার সুপার শপে। “নৈশ প্রহরিরা ছিল কোথায়?” এ প্রশ্ন এখন মাধবদী বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীদের। ঘরোয়া বাজার সুপার শপের মালিক জিতু জানায় প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল ২জুন বুধবারও সারাদিন বেচা বিক্রি করে রাত ১২টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যাওয়ার পর পরদিন সকালে এসে দোকানের তালা খুলে দেখতে পায় দোকানের ভেতর মেঝেতে অনেক মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। তখন তার সন্দেহ হলে দোকানের ভেতরের আশপাশের সব কিছু খোঁজাখুজি করে দেখতে পায় দোকানের উপরের টিনের চালা কেটে চোর দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে চোর কি ক্ষতি করেছে তা খোঁজতে গিয়ে জানতে পারে দোকানের ক্যাশ কাউন্টারে থাকা নগদ ১৩ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোন, বেশ ক’টি শিশুদের দুধের কৌটা ও দামি কসমেটিক নিয়ে যায়। এমনকি দোকানে লাগানো সিসি ক্যামেরার ডিবিআরটিও খুলে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মাধবদী বাজার মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। বিগত সময়েও মাধবদী বাজারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গলিতে বিভিন্ন কায়দায় বড় বড় চুরির ঘটনা ঘটলেও মাধবদী বাজার মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। মাধবদী বাজারের ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন কিছুদিন পর পর এ বাজারে চোরেরা চুরি করে বীরদর্পে পালিয়ে যাচ্ছে। অথচ মার্চেন্ট এসোসিয়েশন (বনিক সমিতি) তাদের নির্দিস্ট নৈশ্য প্রহরী দিয়ে পাহাড়ার ব্যবস্থা করানোর পরও কিছু দিন পরপর এ চুরি হচ্ছে তাহলে কি নৈশ্য প্রহরীরা রাত ঘুমিয়ে থাকেন। মাধবদী শহরের প্রধান ব্যস্ততম সড়ক হচ্ছে বড় মসজিদ রোড। রোডটির দুই পাশের দোকানপাট রয়েছে, পাহাড়ার জন্য মাধবদী বাজার মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের অধীনস্থ নৈশ প্রহরী রয়েছে। তাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা অনাকাঙ্খিত এবং এছাড়া থানা পুলিশও এ রাস্তায় রাতভর টহল দিতে দেখা যায়। নিরাপত্তাকর্মীদের দায়িত্বহীনতাই এসব ঘটনার জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন মাধবদী বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা।