গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের ছোট রায় পাড়া গ্রামে অবস্থিত এক’ই মালিকানাধীন পি টি কনজ্যুমার ইন্ড্রাষ্টিজ, সান রাইজ প্লাস্টিক ইন্ড্রাষ্টিজ, হেলথ কেয়ার এগ্রো এন্ড কেমিকেল লিঃ ইকো ফুড কালার এন্ড এরোমা ইন্ড্রাঃ লিঃ অবৈধ ভাবে দখল করেছে সরকারী নালা, খাল যা বর্তমানে অব্যাহত আছে।অনুমোদন ছাড়াই ব্যবহার করছে সরকারী গ্যাস, আর ফ্যাক্টুরীর বর্জে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের রায়পাড়া মৌজায় এক’ই মালিকানাধীন চারটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ভরাট করা হয়েছে দীর্ঘদিনের প্রবাহমান এই খাল। বর্তমানেও ফ্যাক্টুরী সম্প্রসারণের জন্য ভরাট করা হচ্ছে এই খালটি। পর্যায়ক্রমে দখল করে অবৈধ ভাবে নির্মান করা হয়েছে সংযোগ সড়ক ও গড়ে তুলা হয়েছে শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্ধিত অংশ। এতে করে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এই খালটিতে পানিপ্রবাহ কমে গেছে। ফলে এই মৌজার বিলে সেচ ও পানি নিষ্কাশনে বিঘœ ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামের পূর্ব-দক্ষিনে কাজলী নদী হইতে মেঘনা নদীর সংযোগ এ খালটি ক্রমবর্ধমান শিল্পায়নের ফলে ক্রমশ অবৈধ ভাবে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এক সময় স্থানীয় লোকজনের মাছের চাহিদা পূরণ করতো এ খাল থেকে। দখলের কারণে এ খালের সঙ্গে যুক্ত জমিগুলোতে জলাবদ্ধ হওয়া নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই ইন্ড্রাষ্টিজ এর মালিক একই গ্রামের মোঃ সানাউল্লাহ মিয়া ছেলে মোজাম্মেল হক মুন্না। সে জেলা ছাত্রদলের নেতা। স্থানীয় ভাবে রাজনৈতিক পরিচয়কে ব্যবহার করে, এই দখল করে যাচ্ছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সাথে সখ্যতা বজায় রাখার জন্য ব্যবহার করছেন ভগ্নিপতি মোঃ মুক্তার হোসেনকে। যিনি স্থানীয় ইউঃ পিঃ সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা। বিষয়টি সম্পর্কে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান জুয়েল বলেন, সরকারি খাল কেউ দখল করতে পারবে না যত প্রভাবশালীই হোক না কেন তাকে খাল দখল করতে দেওয়া হবে না। এ বিষয় গজারিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, খাল দখলের খবর পাওয়ার পর তার অফিস থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন তিনি। সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিকভাবে খাল ভরাট এর সত্যতা পাওয়ায় ড্রেজার আপাতত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। আগামী দু’একদিনের মধ্যে তাদেরকে জমির যথাযথ কাগজপত্র নিয়ে তার দপ্তরে আসতে বলা হয়েছে। যদি তারা প্রমাণ করতে পারে জমি তাদের তবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বাধা নেই আর যদি তারা না পারে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক মুন্না বলেন, এ জায়গা আমারও না, মুক্তারেরও না।জায়গা মজিবরের, সে তাঁর জায়গা ভরাট করছে, সেখানে আমার কি?