সারাদেশের ন্যায় সীতাকুণ্ডে ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী-২০২১ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এবারের প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী দৃষ্টি কেড়েছে দর্শনার্থীদের। ৫ জুন শনিবার সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে দেখা মিলেছে দেশী-বিদেশী গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগি ছাড়াও বন্য শুকর, বন মোরগ, বন বিড়াল, টার্কি, কবুতর, পাখি, খরগোশ, ঘোড়া ও পার্সিয়ান জাতের পোষা কুকুরের। নানান জাতের প্রাণির পাশাপাশি এ প্রদর্শনীতে ছিল প্রাণি খাদ্য ও খাদ্য পদ্ধতি প্রদর্শনী, প্রাণি চিকিৎসার আধুনিক ঔষধ পত্র ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রাংশ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী বিষয়ক আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনীতে সকাল থেকে সারাবেলা দর্শনার্থীদের আগমন ছিল লক্ষণীয়। সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রদর্শনী পূর্ব আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ শাহজালাল মুহাম্মদ ইউনূস। প্রদর্শনীতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মুহাম্মদ রেয়াজুল হক, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ অফিসার ডাঃ বায়েজীদ, ইপসার প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ আবু হেনা, একুশে পত্রিকার সাংবাদিক এম কে মনির, সাংবাদিক ইলিয়াছ ভূঁইয়া প্রমুখ। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমাদেরকে মাংস উৎপাদনে স্বনির্ভর হতে হবে। আর এজন্য প্রাণি পালন বাড়াতে হবে। খামারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। ডেইরী ও পোল্ট্রি খাতে ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেকার যুবকদের বৃহৎ অংশ প্রাণি পালন করে স্বাবলম্বী হতে পারে। প্রাণিসম্পদ হতে পারে দারিদ্র্য দূরীকরণের হাতিয়ার। বিশ্বায়নের এ যুগে আধুনিক কলাকৌশলে আমরাও এগিয়ে রয়েছি। সরকার খামারীদের জন্য ঋণ সুবিধা, বিনামূল্যে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। আমাদের দেশের পরিবেশে প্রাণি পালন সহজতর এবং কমব্যয় সম্পন্ন। তাই আমি বলবো প্রাণিসম্পদ বাড়িয়ে আমাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হবে। প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী দেখতে আসা তরুণ ফারহান সিদ্দিক নাঈম বলেন, এবারের প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অন্যরকম হয়েছে। সত্যিই এটি প্রশংসনীয়। বৃষ্টি না হলে এতে আরো লোকের সমাগম হতো। প্রদর্শনীতে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণি, প্রাণির খাদ্য, চিকিৎসা সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা পেয়েছি। অন্যরকম এ প্রদর্শনীর জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানাই। এবারের প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে গবাদিপশু, বন্য প্রাণি, পাখিসহ হরেক প্রজাতির প্রাণি ও প্রাণি চিকিৎসার দিকনির্দেশক মোট ৩৫ টি স্টল বসেছে। প্রদর্শনীতে ডেইরী, পোল্ট্রি, দুগ্ধজাত এ ৩ টি ক্যাটাগরীর প্রতিটিতে ৩ জন করে মোট ৯ জন খামারীকে ৩০ হাজার টাকার চেক পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে প্রত্যক অংশগ্রহণকারীকে সম্মাননা পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হয়।