কাদাকনাথ কালো মুরগী বিষয়ে অবগত নয় বলে জানান হালুয়াঘাট উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, আমাদের উপরের কোন নির্দেশনা নেই কাদানাথ কালো মুরগীর গুনগত মান বিষয়ে। তাই গত ৫ জুলাই উপজেলা প্রানী সম্পদ মেলা উদ্বোধনে আমরা কালো মুরগীকে কোন পুরস্কার দিতে পারিনাই। এ দিকে উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মেলায় পুরস্কার বিতরণের অভিযোগ করেন খামারীরা। তারা জানান, প্রানী বিষয়ে কোন ধারনা না থাকায় মনগড়া মতে যাচাই-বাচাই ছাড়াই পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। খামারী মোঃ জুলফিকার আলী জুলমত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তার একটি কাদানাথ কালো মুরগীর ফার্ম রয়েছে। অধিকাংশ মুরগী ১২ মাস ডিম দেয়। প্রতি পিচ ডিমের দাম ৫০ টাকা, প্রতি কেজি মুরগীর মাংশের দাম ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা। তিনি গত ৫ জুনে প্রানী সম্পদ মেলায় কাদাকনাথ মুরগী প্রদর্শনীর জন্য নিয়ে যান। পরে কালো মুরগী বিষয়ে অবগত না থাকায় সোনালী লেয়ার মুরগীর খামারীকে প্রথম পুরস্কার ঘোষনা করেন প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা। স্থানীয় মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, প্রকৃত হাসের খামারীকে পুরস্কার না দিয়ে উপজেলার ধারা বাজারের এক হাস ব্যবসায়ীকে প্রথম পুরস্কার প্রদান করেন এই কর্মকর্তা। এদিকে পুরস্কার বিতরণ কমিটিতে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবিরুল ইসলাম বেগ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, মৎস্য কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মোস্তফা ও সমবায় কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হুদা। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা নিজ মতামতে পুরস্কার বিতরণ করেন। নতুন প্রজাতির মুরগী কাদাকনাথ (কালো) মুরগী প্রথম পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য বলে জানান উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবিরুল ইসলাম বেগ। প্রদর্শনী পুরস্কার বিতরণেও রয়েছে অনিয়ম।