ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি পরিমাপ ও গ্রাহকদের, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মূল্য পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
এছাড়া যে সকল আইএসপি প্রান্তিক পর্যায়সহ সারাদেশে মানসম্মত গতি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হবে তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের কাছে অনুরোধ করছে সংগঠনটি।
গত বুধবার (৯ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত ৬ জুন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক ‘এক দেশ এক রেট’ স্লোগানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় ব্রডব্যান্ডের নতুন মূল্য কার্যকর শুরু হলো বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। এখানে ৫ এমবিপিএসের মূল্য ধরা হয় ৫শ’ টাকা, ৭ এমবিপিএসের মূল্য ৮শ’ টাকা, এবং তৃতীয় প্রজন্মের ২০ এমবিপিএসের মূল্য ধরা হয় এক হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু এই মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে মহামারি এবং গ্রাহকদের সামর্থ্য ও পরামর্শ বিবেচনায় নেয়া হয়নি। কেবলমাত্র ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গণতান্ত্রিক সরকারের নীতির পরিপন্থী।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মূল্য ঘোষণা পর থেকে আমরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্রাহকদের মতামত ও পরামর্শ ইতোমধ্যে পেয়েছি। প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকদের অনেকেই এই মূল্যকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের প্রধান দাবি হচ্ছে ইন্টারনেটের যে গতির কথা বলা হচ্ছে সেই পরিমাণ গতি প্রান্তিক পর্যায়ে নেই। তাই তাদের দাবি অনুযায়ী সবার আগে ইন্টারনেটের গতি পরিমাপ পরীক্ষা করে দেখা অত্যন্ত জরুরি।’ ‘আবার অনেক প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকদের বক্তব্য-মহামারির মধ্যে যেখানে ছেলে-মেয়ের মুখে ভাত তুলে দিতে পারছি না, সেখানে এত উচ্চ মূল্যে ইন্টারনেট কীভাবে ব্যবহার করব। আবার রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোতে দেশের বড় আইএসপি অপারেটরদের সর্বনিম্ন প্যাকেজ এক হাজার টাকার ওপর। তারা সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী মূল্য কার্যকর এখন পর্যন্ত করে নেই। আমাদের সরকারে প্রতি অনুরোধ থাকবে সারাদেশব্যাপী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির পরিমাপের জন্য ড্রাইভ টেস্ট করা হোক।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যে সকল আইএসপি প্রান্তিক পর্যায়সহ সারাদেশে মানসম্মত গতি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হবে তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের কাছে অনুরোধ করছি। পাশাপাশি মহামারি সামনে রেখে দেশের শিক্ষার্থীদের ও প্রান্তিক কৃষকদের সামর্থ্যের কথা বিবেচনায় নিয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মূল্য পুনর্বিবেচনা করা হোক।’