ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভিত্তি। এরই ফল স্বরূপ জনগণ সেবা নিতে আসবে না বরং সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে- সেবা প্রাপ্তি সহজ হবে। অন্যদিকে ডিজিটাল সংযুক্তি হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাসড়ক। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন সংস্থা সমূহের উদ্ভাবন প্রদর্শন উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ন সচিব দেওয়ান হুমায়ুন এবং আইসিটি বিভাগের যুগ্ন-সচিব সেলিনা পারভেজ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন সংস্থা সমূহের প্রধানগণ স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত ডিজিটাল প্রযুক্তি উপস্থাপন করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, জাতি হিসেবে বাঙালি চিরকাল উদ্ভাবক ও সৃজনশীল জাতি। তা না হলে তলাবিহীন ঝুড়ি খ্যাত বাংলাদেশ আজকের এই অবস্থায় আসতে পারতো না। তিনি বলেন, জাতির পিতা তার সাড়ে তিনি বছরের শাসনের মাধ্যমে যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়নের বীজ বপন করে তা চারা গাছে রুপান্তর করে গেছেন। তারই সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ১৬ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আজ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। বাংলাদেশের কম্পিউটার প্রযুক্তি বিপ্লবের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার শেখ হাসিনার প্রথম সরকারকে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের উন্মেষকাল বলে উল্লেখ করেন। এরপর ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারকে কেবল দিন বদলের সনদ নয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপরেখা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই ইশতেহারে বাঙালি জাতির সামনের অত্যন্ত স্পষ্টভাবে আগামী দিনের স্বপ্ন ও তা বাস্তবায়নের দলিল বলে চিহ্নিত করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জ্ঞান ভিত্তিক একটি ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বিশ্বে বাংলাদেশ অনুকরণীয় দেশ। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সৃজনশীলতা ও ডিজিটাল কানেক্টিভিটির মহাসড়ক সামনে রেখে অগ্রযাত্রা আরও বেগবান করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তৈরি করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন অধিদপ্তর ও সংস্থা সমূহের ডিজিটাল উদ্ভাবন প্রদর্শন করা হয়। সবগুলো প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল ইনোভেশন দেখে মন্ত্রী উদ্ভাবকদের প্রশংসা করেন। তারা তাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি অন্যরাও কাজে লাগাতে পারে সে ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। প্রদর্শনীতে টেলিটক, বিটিআরসি এবং সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানিকে উদ্ভাবনের জন্য সেরা হিসেবে ঘোষণা করা। অনুষ্ঠানে বক্তারা উদ্ভাবনকে জাতীয় অগ্রগতির হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগাতে এবং উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহারে টেকসই কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।