রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ অপরাহ্ন

কটিয়াদীতে আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে ৫শ বাড়িঘর

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১২ জুন, ২০২১

গাঙ ভাইঙ্গ্যা সব কাইরা নিছে। ঘর সংসার ভাইসা গেছে। আমরার চোখের জল চোখেই শুকায়। কথাগুলো বলছিলেন, নদী ভাঙনে ঘর হারানো কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের পূর্বচর পাড়াতলা গ্রামের সোনামদ্দিন(৭০)। উপজেলার চরঞ্চালে নদী ভাঙন নতুন কিছু নয়। একের পর একর চাষের জমি, অসংখ্য বসত বাড়ি ফি-বছর চলে যাচ্ছে নদীর গর্ভে। গত বছর ঠিক এই সময়ে ভয়াবহ নদী ভাঙনের কবলে পড়ে লোহাজুরী ইউনিয়নের পূর্বচর পাড়াতলা, জালালপুর ইউনিয়নের মধ্য চরপুক্ষিয়া, মসূয়া ইউনিয়নের বৈরাগীচর গ্রামের বাসিন্দারা। বছর ঘুরতে ফের নতুন করে নদী ভাঙনের আশংকায় দু:শ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন নদীর পাড়ে বসবাসকারী এসব গ্রামের মানুষেরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কটিয়াদী উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ ও তারা শাখানদী আড়িয়ালখাঁ নদীর জলস্তর বাড়ার ফলে গত বছর বর্ষার সময় নদী ভাঙনে কয়েক’শ গাছ, কৃষিজমি, বসতভিটা, রাস্তা, দোকান বিলীন হয়ে গেছে। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য কিশোরগঞ্জ-২, নূর মোহাম্মদ ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করে। এ প্রেক্ষিতে বাঁশ ও জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিও ব্যাগ দেয়া হলেও তার বেশিরভাগ এখন নদীগর্ভে। গুটি কয়েক জিও ব্যাগ ও শুকনো বাঁশ অসহায় ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রকৃতির সাথে অসম লড়াই করে ভাঙন রুখতে। এ সময় কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দার আব্দুল মান্নান(৭০), ফুলবানু(৬০) সহ আরও অনেকের সাথে। তারা বলেন, এখনই ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া হলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। তারা স্থায়ী ভাঙন রোধে সিসি ব্লক ফেলার দাবী জানান। এ ব্যাপারে ইউএনও জ্যোতিশ্বর পাল জানান, মাননীয় সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ স্যারের পরমর্শমতে আমি ইতিমধ্যে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে সমন্বয় করে শিঘ্রই মধ্যে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com