রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন

উদ্বোধনের অপেক্ষায় আশ্রহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার

মোংলা প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১২ জুন, ২০২১

সকল প্রস্তুতি সম্পুর্ন তাই উদ্বোধনের অপেক্ষায় মোংলা উপজেলার অসহায় ও আশ্রহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার। এ দেশের জাতীর পিতা শেখ মুজিব তাই মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এ উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীনদের ৫০টি পরিবারের জন্য ঘর তৈরি করেছে। কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। যাদের জমি বা ঘর ছিলনা, অপেক্ষা শুধু এ অঞ্চলের অভিভাবক উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহারের হাত ধরে সুন্দর একটি নীড়ে তাদের উঠিয়ে দেয়া। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এসব ভূমি ও ঘর উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম চলতি মাসের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২য় পর্যায়ে নির্মিত ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীনদের নিকট তৈরী করা ঘর হস্তান্তর করবেন। এদিকে অপেক্ষার প্রহর গুণছে প্রধানমন্ত্রী উপহার এসব পাকা ঘর পাবেন যেসব গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারগুলো। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো মানুষগুলো জায়গাসহ নতুন ঘর পাবে এমন আনন্দে অনেকেই আত্মহারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘর নির্মাণ সম্পন্ন করার জন্য বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন মোংলা উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যে ঘরের কাজ পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। “আশ্রয়নের অধিকার-শেখ হাসিনার উপহার” এই স্লেগান নিয়ে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় মোংলা উপজেলায় ২য় পর্যায়ে ৫০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ইতি মধ্যে এ সকল ঘরে থাকার উপযোগী করে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে উপজেলা প্রশাসন। সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ গড়ে তুলতে চলছে চোখ ধাঁধানো রংয়ের কাজ। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার। সূত্রে আরো জানায়, এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রতিটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল, যা পুর্বেই অসহায় মানুষের মাঝে বিতারন করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে ঘরগুলের ব্যায় ধরা হয়েছে প্রতিটি ঘরের জন্য ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এ ঘর গুলোর ডিজাইনও একটু অন্য রকম দৃষ্টিনন্দন ও মনমুগ্ধকর ভাবেই গড়ে তোলা হয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মান করা ঘর। ৪৩৫ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে রয়েছে দুটি বেড রুম, টয়লেট, রান্নাঘর ও একটি বারান্দা। ঘর ও এর আশপাশের জমি মিলিয়ে দুই শতক জমি দেওয়া হবে এ সকল ভূমি ও গৃহহীন প্রতিটি পরিবারকে। সেমীপাকা টিনশেডের এ ঘরে একটি পরিবার স্বাচ্ছন্দে বসবাস করতে পারবে বলেও জানায় স্থানীয়রা। মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার জানান, আমরা সরকারের খাস জমিতে ভূমি ও গৃহহীন হতদরিদ্রদের জন্য ৫০টি ঘর নির্মাণ করেছি। প্রতিটি ঘরের ব্যায় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কাজের মান যেন ঠিক থাকে সেজন্য সার্বক্ষণিক তদারকি করছে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তিনি আরো বলেন, ঘর দেওয়ার জন্য উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও আমরা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করেছি। যারা প্রকৃত ভূমিহীন তারাই এই সুবিধার আওতায় আসবে। বাগেরহাট-৩ আসনের বর্তমান সংসদ পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহারকে সাথে নিয়ে খুব শিগগিরই এসকল আশ্রয়হীনদের মধ্যেই নতুন ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হবে বলে জানান উপজেলা প্রশাসনের এ কর্মকর্তা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com