রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ অপরাহ্ন

গঙ্গাচড়ায় ১০০ পরিবার পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর, আরও একশত ঘর নির্মাণের কাজ চলছে

আব্দুল আলীম প্রামানিক গঙ্গাচড়া (রংপুর) :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ১০০ আশ্রয়হীন অতিদরিদ্র পরিবার পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার পাকা ঘর। ইতোমধ্যে এসব পরিবার তাদের নির্ধারিত ঘরগুলোতে বসবাস শুরু করেছে। তারা কল্পনাও করতে পারেনি যে তারা জীবনে পাকা ঘরে বসবাস করবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুনিমুল হক জানান, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫ ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এ উপহার ১০০ পরিবারের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বড়বিল ইউনিয়নে ৫০ পরিবার, লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নে ৩৫ পরিবার ও নোহালী ইউনিয়নে ১৫ পরিবার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং বন্ধুদের সহযোগিতায় তাদের নিজস্ব অর্থায়নে আরো এক গরীব পরিবার পাকা ঘর পেয়েছে। নতুন করে আরও ১শতটি ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এদের মর্ণেয়া ইউনিয়নে ৫৫, নোহালী ইউনিয়নে ২২, বেতগাড়ী ইউনিয়নে ৬, বড়বিল ইউনিয়নে ১৭টি পাকা ঘর নির্মাণ কাজ চলছে। চলতি জুনের মধ্যে নতুন করে একশত পরিবারের মধ্যে এসব পাকা ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পাকা ঘর পাওয়া সুবিধাভোগীরা জানান, জীবনে কাঁচা ঘর নির্মাণের সামর্থ ছিল না তাদের। তাই এ নিয়ে কোন স্বপ্নও ছিল না। কিন্তু আশ্রয়হীন মানুষের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী পাকা ঘর দিয়েছেন। এখন তারা ছেলে-মেয়ে নিয়ে পাকা ঘরে বসবাস করছেন। ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলছে এটা যেন একটা স্বপ্নের মতো। তারা প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করেন এবং সেই সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ যারা সহযোগিতা করেছেন তাদেরও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়েছেন উপজেলার একশত দরিদ্র পরিবার। এদের মধ্যে বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা, বৃদ্ধ ও আশ্রয়হীন মানুষ রয়েছেন। এরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। ঝড় বৃষ্টিতে অনেক কষ্টে দিন যাপন করতেন। এখন তারা এসব পাকা ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মতো গরীব মানুষের থাকবার জন্য কতো সুন্দর ঘর দিছে। আল্লাহ যেন তারে ভালো রাখে। তারা বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহায়তায় তারা পেয়েছেন মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার। তাই তারা এ ঘরে এখন আনন্দের বন্যা। তারা আরো বলেন, আমাদের মত অবহেলিত, বঞ্চিত ও দারিদ্রপীড়িত মানুষ এ পাকা ঘর পাবে তারা স্বপ্নও ভাবেননি। তাদের মত এই উপজেলায় আগে শত শত পরিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়েছেন। এরা সবারই নিজেদের কোন ঘর ছিল না। জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের মাধ্যমে তার পাকা ঘর পেয়েছেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রুহুল আমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কেউ কুড়ে ঘরে কেউ ব্লিডিং ঘরে এটা তিনি চান না। ক্ষুদা দারিদ্র মুক্ত দেশ গড়ার পর আগামী ৫ বছরের মধ্যে সকল ভূমিহীন, সকল গৃহহীন মানুষদের পাকা ঘর নির্মাণ করে দিবেন। বাংলাদেশের মানুষকে তিনি সুখি-সমৃদ্ধ দেশ উপহার দিতে চান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলীমা বেগম বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে এ উপজেলায় একশত পরিবার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পাকা ঘর উপহার পাবেন। আমি, সহকারী কমিশনার ভূমি শরীফুল আলম ও বন্ধুদের নিজস্ব অর্থায়নে উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের কৈপাড়া গ্রামের মৃত জাফর আলীর স্ত্রী মহিতন(৮১) নামে এক বৃদ্ধার পাকা ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার মহিতনকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি আরো বলেন, এ দেশে কেউই আর গৃহহীন থাকবেন না এটিই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চলমান আশ্রয়ন প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। চলতি জুন মাসের মধ্যেই আরো একশত আশ্রয়হীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর পাকা ঘর উপহার পাবেন পাকা ঘর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com